মাইক্রোবাসের সূত্র ধরে উদ্ধার করা হলো ছিনতাই হওয়া স্বর্ণ-টাকা

নাসির উদ্দিন টিটু, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: সিসি ক্যামেরা ফুটেজ থেকে প্রথমে সংগ্রহ করা হয় মাইক্রোবাসের নাম্বার। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ড্রাইভার রহমান (৩২) কে আটক করা হয়, জব্দ করা হয় মাইক্রোবাসটি। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়া, সাভার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও সর্বশেষ খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় একজন নারী ও পুলিশ সদস্যসহ চক্রের মোট আট জনকে। উদ্ধার করা হয় ৫১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ লক্ষ টাকা। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২:০০ টায় তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ সমস্ত তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলো, কামরুজ্জামান (৪২), সুমন (৩৮), রহমান (৩২), উত্তম মজুমদার (৩৬), জাকির হোসেন (৩৮), শরিফ (৩৬), আনন্দ পাল(২৭) ও একমাত্র নারী সদস্য নাহিদা নাহার মেমী (৩২)।

ঘটনা বিবরণে পুলিশ সুপার জানান, গত ২রা আগস্ট কেরানীগঞ্জের মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার এলাকা থেকে মানিকগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হাবু মিয়ার দোকানের কর্মচারী বরুন ঘোষকে পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। পরে তার কাছে থাকা আটটি স্বর্ণের বার ও তিন হাজার টাকা লুটে নিয়ে ঝিলমিল আবাসিক এলাকার নির্জন স্থানে তাকে ফেলে চলে যায় ছিনতাইকারী চক্রটি। এ ঘটনায় পরদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা (মামলা নং-১০) দায়ের করা হলে ঘটনা তদন্তে একে একে চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে কামরুজ্জামান নামের একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে।গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।