সীমান্তে বাংলাদেশী কৃষকের ৩ গরু নিয়ে গেল বিএসএফ
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার কুমারশাইল সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে এবার বাংলাদেশী কৃষকের ৩ টি গরু ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ। এর মাত্র দেড়মাস আগে একই এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে আরেক কৃষকের একটি গরু ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় নাগরিকেরা। সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকে বিজিবি বিষয়টি উপস্থাপন করলে বিএসএফ ভারতীয় নাগরিকের গরু ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার স্বয়ং বিএসএফ কৃষকের ৩টি গরু ধরে নিয়েও পূর্বের মতো বিজিবিকে তা অস্বীকার করছে।
শুক্রবার বিকেলে লাতু সীমান্তের ১৩৬৭/৫ এস পিলার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনাটি লাতু বিজিবিকে জানানো হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কুমারশাইল গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম কুমারশাইল চা বাগানের নম্বরে গরু চরাচ্ছিলেন। চা গাছের ফাঁকে ফাঁকে গরুগুলো ঘাস খাচ্ছিল। সন্ধ্যা নামার আগেই হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী বিএসএফ সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে চা বাগানে ঢুকে জোরপূর্বক ৩টি গরু ধরে নিয়ে যায়। গরুগুলো সামনের দিকে এগুতে না চাইলেও তারা প্রহার করে এগিয়ে নেয়। গরুর মালিক কৃষক আব্দুল করিম দুরে আড়াল থেকে তা দেখেও ভয়ে প্রতিবাদ করেননি। এর আগে গত ২৫ জুলাই সীমান্তের একই এলাকার কাটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ৫-৬ জন ভারতীয় নাগরিক প্রবেশ করে আব্দুল কাইয়ুমের একটি বড় ষাড় ধরে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিতে গেলে আব্দুল কাইযুমকে তারা পিঠিয়ে আহত করে।
গরুগুলোর মালিক কৃষক আব্দুল করিম জানান, ‘বাগানের ভেতর তিনি গরুগুলোকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন বিএসএফ আমাদের এরিয়ায় ঢুকে পড়ে। আমি ভয়ে আড়ালে চলে যাই। তারা আমার তিনটি বড় গরু ধরে নিয়ে যায়। কি-কারণে বিএসএফ আমার গরুগুলো নিয়ে গেল তা বুঝতে পারছি না। ঘটনাটি আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বিজিবিকে জানান।’
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, ‘কৃষক আব্দুল করিম তার তিনটি গরু বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা তাকে বলেন। তিনি তাৎক্ষণিক লাতু বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জকে ঘটনাটি জানান। প্রায় দেড় মাস আগে একই এলাকার আব্দুল কাইয়ুম নামে এক ব্যক্তির একটি বড় ষাড় ভারতীয়রা সীমান্ত অতিক্রম করে আমাদের দেশে ঢুকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গিয়ে ষাড়ের মালিক আহত হন। এই ষাড়টিও বিজিবি এখনও উদ্ধার করে দিতে পারেনি।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের লাতু ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল খালেক জানান, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিএসএফের ৩টি গরু ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই তিনি বিএসএফের নিকট নোট পাঠান, ফেরৎ দেয়ার ব্যবস্থার নেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তা অস্বীকার করছে। বিষয়টি এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে ভারতীয় নাগরিকরা জোরপূর্বক বাংলাদেশী নাগরিকের গরু ধরে নেয়ার বিষয়টিও বিএসএফ অস্বীকার করেছে।’
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: