গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেম, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিশোরী খুন

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৬ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল আশিকা জাহান সিপা (১৬)। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল গৃহশিক্ষক মো. বাইজিদ সরকারের (২৬) সঙ্গে। দুজনের মধ্যে মোবাইলে কথা কাটাকাটি মান-অভিমানে রাগ করে গভীর রাতে সবার অগোচরে ঘর থেকে বের হয়ে যায় সিপা। এরপর পরিবার তার সন্ধান পায়নি। পরে দুপুরে স্থানীয় বডিং মাঠের পুকুরে মেলে সিপার মরদেহ। এই তথ্য জানিয়েছেন, সিপার বাবার দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির।

তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী সিপার মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে এখনো পৌঁছেনি। তবে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিপার মাথার পেছনে গভীর আঘাত রয়েছে। এতে ধারণা করা যায় তাকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিপার মরদেহ উদ্ধারের পর আটক করা হয় গৃহশিক্ষক মো. বাইজিদ সরকারকে। ঘটনার পরদিন সিপার বাবা শাহীনূর ইসলাম সদর মডেল থানায় বাইজিদকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আমরা আদালতে বাইজিদকে রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। আদালত ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আশা করছি তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। সিপাকে কে হত্যা করেছে তা তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

চলতি বছরের গত ২৮ আগস্ট দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বোর্ডিংয়ের মাঠ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় আশিকা জাহান সিপার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহীনূর ইসলামের মেয়ে। তারা পরিবারসহ জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন।

সিপার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার প্রাইভেট শিক্ষক মো. বাইজিদ সরকারের। বাইজিদ সরকার জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের খিদিরপুরের মুখলেছুর রহমানের ছেলে। সে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্স শেষ বর্ষের অধ্যয়নরত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: