আক্কেলপুরে ৩য় দিনেও কর্মবিরতি অব্যাহত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৫২ এএম

ভোর রাত থেকে হালকা বৃষ্টি। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতারা পড়েছেন বিপাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সারা দেশের ন্যায় আক্কেলপুরেও কর্মবিরতি পালন করায় আপাতত সেবা প্রদান বন্ধ রয়েছে এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃষ্টির মধ্যে আক্কেলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেবা নিতে এসেছিলেন গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ মোল্লা। আব্দুর রশিদ মোল্লার মতো অনেকেই এসেছিলেন সেবা নিতে। কিন্তু কার্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা অফিসের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে চেয়ারে বসে কর্মবিরতি পালন করায় তাদের কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছে।

আক্কেলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে সারা দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ৫ দফা দাবী দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। তারই অংশ হিসেবে আক্কেলপুর উপজেলাতেও ৩য় দিনে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।
আক্কেলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন,‘ সারা দেশের ন্যায় আমরাও ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছি। একারণেই সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে।’

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম.হাবিবুল হাসান বলেন,‘ কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করায় সেবা গ্রহীতাদের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে দ্রুত বসে বিষয়টি সমাধান করলে সেবা গ্রহীতারা উপকৃত হবে।’

আক্কেলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কার্য সহকারী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন,‘অধিদপ্তরের জনবল কাঠামো ও পাঁচ দফা প্রাণের দাবী দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। আমরা কার্যসহকারী গন ২০১৬ সাল হতে অদ্যাবধি কর্মরত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচি প্রকল্পে আমাদের পদটি সৃজিত। সৃজিত পদে পদায়ন করা হলে কর্মরত কার্যসহকারীদের হতাশার জীবন হতে অবসান ঘটবে ও দু'বেলা দুমুঠো ভাত ও ডাল খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আমাদের প্রাণের দাবীর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। দেশরত্ন মা জননী আপনি আমাদের হতাশার অতল গহব্বর হতে বাঁচিয়ে তুলুন ও সম্মানের সহিত বেঁচে থাকার সুযোগ সৃষ্টি করুন।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: