ডাকাতি ও ছিনতাই টাকার জেরে হত্যা করা হয় আখেরকে

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:১২ পিএম

স্ত্রীর সাথে পরকীয়া এবং অর্থ আত্মসাতের প্রতিশোধ নিতে বগুড়ার সন্ত্রাসী আখের আলীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িতকে গ্রেফতার এবং রহস্য উদঘাটনের পর আজ দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন।

হত্যাকান্ডে জড়িত কালা মানিক ওরফে বাচ্চু মিয়া নন্দীগ্রাম উপজেলার কৈডালা গ্রামের মৃত রমেশের ছেলে। গত ১২ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির কালা পাহাড় নামক টিলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ২২ আগস্ট সকালে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ উপজেলার ওমরপুর এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে আখের আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। আখের আলী বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের শিকার আখের আলী তিনটি হত্যাসহ ৮ মামলার আসামি ছিলেন। অন্যদিকে গ্রেফতার বাচ্চু মিয়াও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। জেলখানাতেই তাদের দু’জনের পরিচয় ঘটে এবং একাধিকবার দু’জনেই জেলে যাওয়ার ফলে তাদের মধ্যে এক সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৬ মাস আগে জামিনে বের হন আখের আলী। এরপর গত দুই মাস আগে জামিনে বের হন কালা মানিক। আখের আলী জামিনে বের হয়ে কালা মানিকের ৩য় স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। কালা মানিক জামিনে বের হয়ে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর কৌশলে আখের আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন।

তিনি আরও জানান, সেখানে অবস্থান করে তারা বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও ছিনতাই করতেন। ডাকাতি করে টাকার ভাগ থেকে আড়াই লাখ টাকা আখের আলীর কাছে রাখতে দেয় কালা মানিক। কিছুদিন পর আখের আলী সেই টাকা আত্মসাত করে। এ ঘটনার পর আখেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে কালামানিক। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ আগস্ট কালা মানিক আখেরকে জানায়- নন্দীগ্রামের একটি দোকানে ডাকাতি করার কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়।

রাত ১০ টার দিকে তারা নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর বাজারে কাছে মহাসড়কের ধারে একটি বাগানে অপেক্ষা করতে থাকে। একপর্যায় কালা মানিক তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে আখের আলীর মাথায় আঘাত করে। আখের আলী দৌড়ে ধান ক্ষেতে পড়ে গেলে সেখানেই চাপাতি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে কালা মানিক। এরপর মোটর সাইকেল ও আখের আলীর মোবাইল ফোন ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ওসি আরও বলেন, কালা মানিককে গ্রেফতারের পরে ঘটনাস্থলে থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি মাংস কাটা চাপাতি এবং একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: