সন্তানকে নিয়ে এসে এসএসসি পরীক্ষা দিলেন যমজ দুইবোন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ২ মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে হলে এসে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন যমজ দুইবোন। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুই বোন তাদের নিজ নিজ সন্তান কোলে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে সেখানে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। এসময় পরীক্ষা শুরু হলে তারা তাদের দুই সন্তানকে মা ও খালা’র কাছে দিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকেন।
যমজ দুই বোন উম্মে কুলসুম ও উম্মে ফাতেমা সারিয়াকান্দি উপজেলার বড়ইকান্দি বিমানবন্দরপাড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রঞ্জু মিয়ার মেয়ে। তারা নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। সারিয়াকান্দি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা। দু’জনের পরীক্ষাই ভালো হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা রঞ্জু মিয়া করোনাকালীন সময়ে অতি-আর্থিক দৈন্যতায় পরে দুই মেয়েকে বিয়ে দেন। কুলসুমের উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিতপরল গ্রামে এবং ফাতেমাকে পাশের গাবতলী উপজেলার দাঁড়াইল বিয়ে দেন। সে সময় তারা দু’জনেই নবম শ্রেণীতে পড়তেন। তাদের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উৎসাহে তারা দু’জন এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। গত ২ মাস আগে তাদের দু’জনের কোলজুড়ে ছেলে ও মেয়ে সন্তান আসে।
উম্মে কুলসুম ও উম্মে ফাতেমা জানান, তাদের লেখাপড়া করার খুব ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় এবং তাদের বাবা ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। তারা ভেবেছিলেন তাদের লেখাপড়া শেষ। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের এসএসসি পরীক্ষা দিতে উৎসাহ যোগান। এরপর তারা প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন।
তারা জানান, তাদের ছোট দুই বাচ্চাকে বাইরে মা ও খালাকে দিয়ে হলে ঢুকেছিলেন। পরীক্ষার সময় বার বার চিন্তা হচ্ছিলো বাচ্চারা কান্না করছে কিনা। এরপরেও তারা পরীক্ষা ভালো দিয়েছেন। পরীক্ষা শেষে তাদের বাচ্চাদের দুধ পান করিয়েছেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: