দরজা ভেঙ্গে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৩ এএম

ময়মনসিংহে দরজা ভেঙ্গে দুই যুবকের ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর মহানগরীর সানকিপাড়া ও জেলার গফরগাঁও উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জামিরাকান্দা গ্রামের অনিল কুমার সূত্রধরের ছেলে অমিত কুমার সূত্রধর (২৬)। অপরজন জেলার গফরগাঁওয়ের বারবাড়িয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের মোজাম্মেল সরকারের রাজু সরকার (২৮)।

এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, অমিত ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্নাস ও মাস্টার্স পাশ করেছেন। লেখাপড়া করার সুবাদে সানকিপাড়া এলাকার মাজার শরীফ এলাকার একটি ছাত্রাবাসে বসবাস করতেন। গত শুক্রবার রাত থেকে অমিতের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারছিল না তার পরিবার। পরে বিষয়টি তাদের এক আত্মীয়কে জানায়। ওই আত্মীয় তার ছাত্রবাসে এলে রুমের দরজা বন্ধ পান। এই সময় তিনি জানালা দিয়ে অমিতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে, কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, গফরগাঁও থানার পরিদর্শক ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন,নিহত রাজুর পরিবারে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধ মিমাংসা করার জন্য সালিস দরবার হলেও মিমাংসা হয়নি। ঘটনার দিন শনিবার বিকেলে বাবা মোজাম্মেল সরকারের সঙ্গে রাজু সরকারের ঝগড়া হয়। এই ক্ষোভে সন্ধ্যার পর রাজু বসতঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ছাদের হুকের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এদিকে, ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ দেখে রাজুকে ডাকাডাকি করে তার বাবা। কোন সাড়া না পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙ্গে রাজুকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসেন। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছেন বলেও জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: