ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:১৮ পিএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিচার প্রার্থীর বিচার করতে গিয়ে তৃতীয় পক্ষের প্রতিহিংসার বলি হয়েছেন আব্দুল মজিদ নামে এক তরুণ ইউপি চেয়ারম্যান। ফলে পরিষদের সদস্য ও সদস্যাদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ১২নং কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন প্যানেল চেয়ারম্যান মজিবর রহমান। তিনি বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গণি অনেক আগে পরিষদ সংলগ্ন ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। প্রায় চার মাস আগে ওই জমির পজিশন বুঝে পেতে বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের কাছে আবেদন করেন তিনি। ফলে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ অপর পক্ষ নওশেদ আলীকে তার দাবীকৃত ৭ শতাংশ জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সময় দেন। চার মাস অতিবাহিত হওয়ার একপর্যায়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার উভয়পক্ষ এবং স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে খারিজ অনুযায়ী ওসমান গণিকে সোয়া ৫ শতাংশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে নওশেদ আলীর কাগজপত্র দাখিল সাপেক্ষে তার অংশটুকুও বুঝিয়ে দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা উভয়পক্ষ মেনে নেন।

এদিকে, বিষয়টি সমাধানের পরপরই নওশেদ আলীর ভাতিজা সোহেল, রাসেল ও দুদুসহ কয়েকজন এসে জমির খুঁটি উপড়ে ফেলে এবং চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এমতাবস্থায় বিষয়টি কর্ণপাত না করে চেয়ারম্যানসহ অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন। ওই দিন রাতেই সোহেল, রাসেল ও দুদুসহ কয়েকজন মিলে চেয়ারম্যানকে আক্রমণ করতে পরিকল্পনা করে এবং তা বালুঘাটা বাজারে বলে বেড়ায়। পরিকল্পনা মতো পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় চাকু, লোহাড় রড, চেইন এসব নিয়ে বালুঘাটা বাজারে আসে এবং ঘুরাফেরা করে। এসময় চেয়ারম্যান এর আত্মীয়স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন বিষয়টির প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মাঝে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত লোকদের বাধায় বিষয়টি তৎক্ষণিক নিস্পত্তি হয়ে গেলেও জামালপুরের এক হাসপাতালে প্রতিপক্ষের একজনকে একদিনের জন্য ভর্তি করানো হয়। পরে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদকে প্রধান আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে তৃতীয় পক্ষের আব্দুল মান্নান। মামলায় চেয়ারম্যান এর ভাতিজা এবং ঢাকায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আশরাফুলকেও আসামী করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জমি নিয়ে ভুক্তভোগী ওসমান গণি, ইউপি সদস্য এসোসিয়েশন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য রীনা বেগম বক্তব্য রাখেন।

এসময় তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে বলেন, গ্রামের ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করাই আমাদের কাজ। ন্যায়সঙ্গত কাজ করতে গেলে যদি আমাদের প্রতিহিংসার শিকার হতে হয় তবে পরিষদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং বিচার প্রার্থী ভুক্তভোগীরা হতাশ হন। তাই আমরা এর প্রতিকার চাই।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: