চাইলে ভিডিও ক্লিপ দিবে ইসি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত বক্তব্য এবং ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। এখানে ভুল বুঝার কোনো অবকাশ নেই। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার(ইসি) মো.আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, দলগুলোর সঙ্গে যে সভা করেছি, তা আপনারা সরাসরি দেখেছেন। আমাদের কর্মকর্তারা এগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন, ভিডিও ক্লিপ আছে। সেগুলো দেখে আমাদের লিখিতভাবে দিয়েছেন। তিনবার মিলিয়ে দেখা হয়েছে। আমরা দলগুলোর লিখিত বক্তব্য এবং ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অনেকেই পেপার ট্রেইল রাখার কথা বলেছেন, আমরা পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন এই মূহুর্তে এটা সংযোজন করা সম্ভব নয়। তাই এটা আমরা কিন্তু ইভিএমের বিপক্ষে সংশ্লিষ্ট দলের মতামত হিসেবে ধরে নিয়েছি। ভোটার তালিকার সঙ্গে ইভিএমেও ফটো দেখা যায়। কাজেই কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললেও একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে সেই ফটো মিলিয়ে দেখা হয়।

সব দিক থেকেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি ইভিএমে কারচুপি করা যায় না। আর অনেকেই বলেছেন যদি কারচুপি করা না যায়, তবেই ইভিএম চায় তারা। কাজেই সেই হিসেবেই আমরা দেখেছি মোট ১৭টি দল ইভিএম চায়। যেখানে ইভিএম হয়েছে, সেখানেই কোনো মারামারি, রক্তপাত হয়নি, কোনো কারচুপি হয়নি এবং একটি নির্বাচন নিয়েও কোনো অভিযোগ আসেনি, চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। তাই সকল কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। ১৫০ আসনে যদি নির্বিঘ্নে ভোট নিতে পারি, বাকি ১৫০ আসনে ব্যালটে হলে প্রয়োজনীয় ফোর্স মোতায়েন করতে পারি, সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এছাড়া আপনারাই তো বলেন যে রাতে ভোট হয়, সকালে ভোট হয়, দুপুরে ভোট হয়, সেহরি খায়, ইফতারি খায়। আপনারা কি চান আবারো ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে সেই সেহরি, ইফতারি খাক? আমাদের টাকা দেন তাহলে ৩০০ আসনেই ইভিএম করবো। এছাড়া প্রশিক্ষণের ব্যভস্থা যদি করতে পারেন আমরা ৩০০ আসনেই করবো। যেহেতু পত্রিকায় এসেছে, আমরা দেখবো আমাদের কোনো ভুল ত্রুটি আছে কিনা। যদি ভুল থাকে আমরা সংশোধন করবো। ১৭০ জিবি রেকর্ড আছে আমাদের কাছে। অনেকেই লিখে নিয়ে এসেছেন বিপক্ষে, কিন্তু আলোচনা পর মাইন্ড চেঞ্জ করেছেন, আমরাদের পক্ষে রেখেছি।

কালকের মিটিংয়ে চুড়ান্ত করার মালিক নয়। কালকে আমরা বসবো। যদি দেখা যায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে তবে ইভিএমের নতুন প্রকল্প অনুমোদন হবে।