সীমান্তবর্তী মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির শেষ হলো

নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের ভূমি অধিগ্রহণের দীর্ঘ দিন পর কাজ শুরু করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ। সেই সাথে জরিপ ছাড়াই ৫৯ দশমিক ৩,৩৫০ একর ভূমি অধিগ্রহনের জন্য বরাদ্দকৃত ১০২ কোটি টাকার মধ্যে সরকারের সাশ্রয় করলেন ৫৬ কোটি টাকা। যা জমা হবে সরকারের কোষাগারে।

তত্ত্ব সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা কলমাকান্দা সড়ক প্রশস্তকরণ ও ১১ টি সেতুসহ জমি অধিগ্রহণ বাবদ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ৩২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রাক্কলন জমাতে সড়ক জনপথ বিভাগ এরমধ্যে কেবল জমি অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয় ১০২ কোটি ৪৮লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। কিন্তু এই ২৪ কিলোমিটার সড়কে ১১ টি সেতু নির্মানের পর এ্যাপোচ সড়ক নির্মাণ এবং প্রশস্তকরণের কাজ থেমে থাকে জমি অধিগ্রহণের কারনে।

জমি অধিগ্রহণের জন্য কি পরিমান জমি লাগবে তা জরিপ না করেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ভূমির জন্য ওই টাকাটা বরাদ্দ হয়।
কিন্তু জমি জরিপ না হওয়ায় সড়কের কাজ প্রায় ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে নবাগত জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নজরে আসলে তিনি নেত্রকোনা কলমাকান্দা সড়কের জমি জরিপের কাজ শুরু করেন। ১০ জন সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করে সরকারের বরাদ্দকৃত ১০২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৪৫ টাকার মধ্যে বর্তমান বাজার মূল্যে জমির মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৮ টাকা। সরকারের অর্থ বেঁচে গেলো ৫৬ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২৭ টাকা।

গত ৬ সেপ্টেম্বর নতুনভাবে চূড়ান্ত প্রাক্কলন পাঠান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ রাজস্ব শাখা এবং সড়ক বিভাগকে বাকী কাজ সম্পন্ন করা নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আনুমানিক প্রাক্কলনের অধিগ্রহণের বেঁচে যাওয়া অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, মানুষের ভোগান্তি যেভাবে কমবে সেভাবে কষ্ট হলেও কাজ করতে হবে। পাশাপাশি ভূমির
ন্যায্যমূল্য দিয়ে পরিছন্ন ভাবে ভূমি ক্রয় করতে হবে। সে লক্ষ্যেই নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের জমি অধিগ্রহণে নতুন করে জরিপের কাজ শুরু করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, চলতি অর্থবছরেই কাজ সম্পন্ন হবে লাঘব হবে দীর্ঘদিনের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের ভোগান্তি।