আবারও ছাদখোলা গাড়িতে সাবিনাকে সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:০১ পিএম

গোলমেশিন খ্যাত জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে নিজ জন্মভূমি সাতক্ষীরাতে আবারও ছাদখোলা গাড়িতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মোড়ে তাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় সাবিনাকে একটি ছাদখোলা গাড়িতে করে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ সার্কিট হাউজে নিয়ে আসেন। এ সময় দর্শকরা হাত নেড়ে সাবিনাকে অভিনন্দন জানান।

সাবিনাকে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জাননো হয়। সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপনসহ ক্রীড়া সংগঠকরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাবিনা খাতুন গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন।

এসময় সাবিনা খাতুন জানান, পশ্চাৎপদ সমাজে একজন মেয়েকে খেলোয়াড়ী জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়। তাকেও করতে হয়েছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এমনটা নিজের পরিবারেরও কেউ মেনে নেন না। তবুও অদম্য মনোবল ও স্থানীয় কোচ প্রয়াত আকবার আলীর উৎসাহে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন।

সাতক্ষীরার পলাশপোলে জন্ম নেওয়া বিত্তহীন পরিবারে ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কৃতি এই ফুটবলার। ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফুটবলে পা রেখেছিলেন। ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটায় পিতার মত সঙ্গে থেকেছেন শহরের চালতেতলার আকবার আলী। শহরের চালতেতলা এলাকায় ২০০২ সালে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের একটি আবাসিক সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি। সাবিনার হাতে খড়ি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে।

এ প্রসঙ্গে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহ-সংগঠক ও আকবার আলীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার জানান, সাবিনা তখন নবারুণ স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় তার খেলা নজর কাড়ে আকবার আলীর। তিনি সাবিনাকে পিটিআই স্কুল মাঠে ফুটবল খেলায় প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলায় আমি ও আমার স্বামী তার সঙ্গে যেতাম।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: