উল্লাপাড়ায় মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট এর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম

হাসপাতালে চাকুরীরত অস্থায় আয়া (তরুনী) ও মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট এর সাথে প্রেম বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন, পেটের বাচ্চা নষ্ট এবং ওই তরুনীকে নানান ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট মোঃ আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-ট্রাইবুনাল -১ এ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তরুনী।

অভিযুক্ত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পুর্নিমাগাতি ইউনিয়নের গোয়ালজানি ( মওড়া) এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট মোঃ আহসান হাবিব।

মামলা সুত্রে জানাযায়, সলঙ্গা থানার হাটিকমরুল গোলচত্বর এলাকায় পপুলার হাসপাতালে চাকুরীরত অবস্থায় আহসান হাবিবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ভুক্তভোগী তরুনীর। তরুনী একই হাসপাতালে আয়া হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছিল। আহসান হাবিব বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুনীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিল। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুনী গর্ভবতী হয়ে গেলে ঔষধ খাইয়ে তরুনীর পেটে বাচ্চা নষ্ট করে আহসান হাবিব। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুনী ৯ সেপ্টেম্বর হাবিব কে বিয়ের জন্য চাপ দিলে এবং হাবিবের বাড়ীতে গেলে তাকে আবারও জোরপুর্ক ধর্ষন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর উল্লাপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়াই ভুক্তভোগী তরুনী ১৪ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ আদালতে বাদী হয়ে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই ও হাসপাতালের আশেপাশের অনেকেই বলেন, ছেলেটি মেয়েটির সাথে অনেক ক্লোজ ভাবে মেলামেশা করত দেখতাম বিয়েও ঠিক হয়েছিল জানতাম। তারপর ছেলেটি হঠাৎ করে পপুলার হাসপাতালে চাকরি ছেড়ে চলে যায়। পরে আরো শুনলাম ছেলেটি বিয়ে করেছে মেয়টি ছেলের বাড়িতে গেলে নাকি মারধর করে তারিয়ে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী তরুনী জানান, হাবিবের সাথে চাকরি করার সুবাদে পরিচয় হওয়ার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে যায়। হাসপাতালে একা পেয়ে আমাকে জোরপুর্বক একাধিকবার ধর্ষন করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। আমি এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে গেলে আমাকে ঔষধ খাইয়ে গর্ভপাত করায়। আমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে। সে আমাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষন করে এবং আমাকে মারধর করে হত্যার হুমকি দেয়। সে এখন অনত্র বিয়ে করেছে। আমি প্রতারক ও ধর্ষক হাবিবের বিচার চাই।

ভুক্তভোগী ঐ তরুনীর বাবা বলেন, হাসপাতালে হাবিব একা পেয়ে আমার মেয়েকে একাধিক বার ধর্ষন করে বিষয়টি জানাজানি হলে হাবিব আমার কাছে এসে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। দুই-তিন মাস অতিবাহিত হলেও হাবিব তালবাহান করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মেয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে ডেকে নিয়ে আবার ও ধর্ষন করে এবং মারধর করে তারিয়ে দেয়। শুনলাম সে বিয়ে করেছে, আমরা লম্পট ও প্রতারক হাবিবের সঠিক বিচার দাবি করছি। আর কোন মেয়ের সাথে যেন এমন না হয়।

অভিযুক্ত হাবিবের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার দাদা রবি মেম্বর দেখছেন। আমি বাইরে থাকি আমি তেমন কিছু জানিনা আপনারা রবি মেম্বারের সাথে একটু যোগাযোগ করেনন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাবিবের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: