চুয়াডাঙ্গায় জোড়া খুনের ঘটনায় চারজন গ্রেফতার; পুলিশের ব্রিফিং

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আলোচিত ও রহস্যাবৃত দম্পতি হত্যার ঘটনায় ৫দিন পর চার জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ টাকা, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিস। তাদেরকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত নজির উদ্দিন ধান-চালের পাশাপাশি বালির ব্যবসা শুরু করেন। এজন্য তিনি একটি ট্রলি গাড়িও কেনেন। খুনের মাস্টারমাইন্ড সাহাবুল নজির উদ্দিনের সেই ট্রলি গাড়িতে বালি আনা-নেওয়া করত। ঘটনার দিন সাহাবুল তার সহযোগী বিদ্যুৎ ও রাজিবকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নজির উদ্দিনের বাড়ির সামনে হাজির হয়। বালি কেনার কথা শুনে এবং সাহাবুলকে চিনতে পেরে নজির উদ্দিন বাড়ির দরজা খুলে দেন। তারা বাড়িতে ঢুকে দুজনকে খুন করে টাকা, ও দুটি মোবাইল মোবাইলফোন নিয়ে বেরিয়ে যায়।

এসপি আরও বলেন, স্বামী-স্ত্রী নজির উদ্দিন ও ফরিদা বেগমের নির্মম হত্যাকান্ডের দিন অন্যান্য জিনিসের সাথে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় খুনিরা। পুলিশ এই মোবাইল ফোন দুটিকে জাল হিসেবে ফেলে রাখে। পাঁচদিন ধরে মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ মোবাইল খোলার অপেক্ষা করতে থাকে। মঙ্গলবার রাত থেকে দুটি মোবাইলের একটি খোলা পায় পুলিশ। লোকেশন ধরে পুলিশ মোবাইলের কাছে চলে যায়। পুলিশের পাতা মোবাইল ফাঁদে প্রথম আটকা পড়ে বিদ্যুৎ। এরপর একে একে আটক করা হয় সাহাবুল ও রাজিবকে।

উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেফতার রাজীবের কাছ থেকে ৩৫ হাজার, বিদ্যুতের কাছ থেকে ৮হাজার, নিহতের মোবাইলফোন, নিহতদের ব্যাগ ও আসামীদের রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের বজলু রহমানের ছেলে সাহাবুল (২৪), একই গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ (২৩), পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব (২৫) ও তাজউদ্দীনের ছেলে শাকিল হোসেন (২১)।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে আলমডাঙ্গার পুরাতন বাজারের অর্পিত সম্পত্তির বাড়িতে ব্যবসায়ী নজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে বাড়ির তালা ভেঙে ঘর থেকে ফরিদা খাতুন ও বাথরুম থেকে নজির উদ্দীনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন নিহতের একমাত্র মেয়ে ডালিয়ারা পরভীন শিলা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: