কিশোরীকে ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বার গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৪১ পিএম

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সালিশের নাম করে এক কিশোরীকে ধর্ষনের মামলার প্রধান দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে শাল্লা থানা ও ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা জেলার শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহরের পানসী রেস্টেুরেন্টের সামনে থেকে শাল্লা থানা পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা মিলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে ঐ কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে না করায় গত জানুয়ারিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ওই কিশোরী। এতে প্রেমিক মলয় দাস দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিলে ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে মলয়ের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে জানায়। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু মলয়ের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সকালে তাকে সালিশের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।

ঘটনার সময় পরিষদের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে ওই কিশোরীকে চেয়ারম্যান নান্টু ও তার পরিষদের মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে গণধর্ষণ করেন। পরে কোনো মতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নেয়। ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে প্রধান আসামী করে পরিষদের ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস ও প্রেমিক মলয় দাসসহ তিনজনকে আসামী করে শাল্লা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ধর্ষন মামলার আসামী শাল্লার বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: