ফসলের সাথে শত্রুতা; ঘাস নিধনের কীটনাশক দিয়ে ধান গাছ নষ্ট করার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ০৫:১২ পিএম

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে রোপনকৃত ধান ক্ষেতে রাতের আঁধারে ঘাস নিধনের কীটনাশক প্রয়োগ করে ধান গাছ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

গত শনিবার (১ অক্টোবর) থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে কৃষক আশরাফুল ইসলাম উল্লেখ করে বলেন, আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি প্রতিপক্ষ একই এলাকার আব্দার আলীর ছেলে জামাল হোসেন অন্যায় ভাবে মালিকানা দাবী করে জবর দখল করেছিলো। এ নিয়ে আমার মা বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং অন্য ২২/২০১৬(আদিত)। সে মামলায় আমাদের পক্ষে রায় দেয় আদালত এবং আদালতের পক্ষ থেকে গত ১৪ নভেম্বর ২০ইং আমাদের জমির দখল বুঝে দেয়। তখন থেকে আমি জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। ইতিমধ্যে পূর্ব দখলদার একাধিকবার আমার জমির ফসলের ক্ষতি করে এবং পুনরায় জমি জবর দখলের চেষ্টা করলে আমি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। (যাহার এম আর নং- ১৪/২১ (আদিত), ধারা- ১০৭/১১৭ (গ) ফৌঃ কাঃ বিঃ)। সেই মামলায় বিবাদীরা আদালতে গিয়ে মুচলেকা প্রদান করে। তবুও আমার এবং জমির উপর তাদের কুদৃষ্টি এখনো সড়ায়নি।

এই মৌসুমে আমি উক্ত জমিতে ধান রোপন করেছি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ সন্ধ্যার পর বিবাদীরা আমার রোপনকৃত ধান ক্ষেতে ঘাস নিধনের কীটনাশক প্রয়োগ করে। ফলে ধান গাছ গুলো পুড়ে যাচ্ছে। আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ উল্লেখ করে আরো বলেন, কীটনাশক প্রয়োগের ঘটনার পর দিন সকালে আমি জমিতে গিয়ে ধান গাছ মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বিবাদীর প্রতি আমার সন্দেহ হওয়ায় তার নিকট জানতে চাইলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং আমাকে উক্ত জমি ভোগ দখল করতে দিবে না মর্মে বিভিন্ন রকমের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনার বিচার পেতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের মধুপুর এলাকার মৃত ছপিত উদ্দিনের ছেলে ধান চাষী আশরাফুল ইসলামের চাষকৃত ধান গত তিন-চার দিন থেকে পুড়ে যাওয়ার মত দেখাচ্ছে। বিষয়টি চাষীর পূর্ব শত্রুর দাঁড়া হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সফল হওয়া যায়নি।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো, তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: