গাইবান্ধা ৫ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাত পোহালে ভোট

জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাত পোহালে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।নির্বাচন পর্যবেক্ষকনের জন্য লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এক হাজার দুইশোর বেশি। থাকছে কয়েক প্লাটুন বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও। এছাড়া সব ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা।

ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ২টি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষের ভেতর (গোপন বুথের দৃশ্য ব্যতীত) ৯৫২টিসহ সর্বমোট এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভোটের দিন সরাসরি পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকাস্থ নির্বাচন ভবনে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।

সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন এবং ফুলছড়ি উপজেলা গজারিয়া, ফুলছড়ি, এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়ন চরাঞ্চল ও দুর্গম হওয়ায় ওই এলাকাসমূহে জিএসএম রাউটার ব্যবহার করে সিসিক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।