তথ্য দিতে অনীহা নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক প্রেমানন্দের

নড়াইল সদর হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে তথ্য দিতে অনীহা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলের। তথ্য চাইলে কখনো কখনো সাংবাদিকদের সাথে অসভ আচারণ করেন শুধু তাই নয় তিনি সাংবাদিকদের কে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তিনি।
এর আগে গত ১০ অক্টোবর দুপরে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন লোহাগড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের সুমাইয়া বেগম নামে এক নারী পরেরদিন ১১ অক্টোবর দুপুরে পেটে ব্যাথা জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসা ঔই রোগী ও তার স্বজনদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের বিরুদ্ধে। পরের দিন বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রোগীর অভিযোগ ও ঘটনার সত্যতা জানতে হাসপাতালে যান কয়েকজন সাংবাদিক।
পরে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আসাদ উজ-জামানের (টনি) কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে রোগী ও তার স্বজনদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, রোগী ও তার স্বজনেরা হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারদের উপর হামলা করেছেন। তবে তিনি একথা অস্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, এরকম পরিস্থিতিতে সেতু নামক এক ডাক্তার তাদেরকে অন্য ঘরে আটকে রাখে বলে স্বীকার করেন তার ভিডিও বার্তায়।
এরপর সাংবাদিকরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে তিনি কোন বক্তব্য না দিয়ে তার কক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে বলেন। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কেন তিনি তথ্য দিতে চান না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ইতোপূর্বে তিনি অনেক সাংবাদিকের সাথেই এমন ব্যবহার করেছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সাংবাদিকদের তথ্য দিতে অনীহা ও অসৌজন্যমূলক আচারণে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে হাসাপতাল আসলে কাদের জন্য? যাদের কাছে সেবা নিতে আসবে তাদের এমন ব্যবহার হলে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: