জেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোট কক্ষে ফোন নিয়ে যেতে পারবে না ভোটারা

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৩৫ পিএম

ভোটারের গোপনীয়তার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার বাধাগ্রস্থ যাতে না হয়। ভোটকক্ষে ভোটারগণ যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপনকক্ষে ভোট প্রদানের ছবি তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করতে ভোট কক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাচন কমিশন( ইসি)। মোঃ আতিয়ার রহমান উপসচিব নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (পরিচালনা-২ অধিশাখা) এর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এমন তথ্য জানা যায়।

ইসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি যেসব এলাকায় নির্বাচন হয়েছে দেখা যায় সেখানে ভোটারা ভোট দেওয়ার পর সময় ছবি তুলছেন।এতে করে ভোটারদের যেমন গোপনীয়তা হ্রাস পাচ্ছে। তেমনি আইন লঙ্ঘন হচ্ছে।এজন্য ভোটার দের গোপনীয়তা রক্ষা ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, ভোটারের প্রদত্ত গোপনীয়তা ভঙ্গ করা বা ভঙ্গ করার চেষ্টা অসদাচরণ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এরূপ বিধি বহির্ভূত কার্যক্রম বা অসদাচরণ প্রতিরোধে প্রিজাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণের করণীয় সম্পর্কে জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩১ এ সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।

কোনো ব্যক্তি, তিনি যে কোনো পদ বা মর্যাদার অধিকারী হন না কেন, ভোটকেন্দ্রের গোপনীয় কক্ষে বা নিকটে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোনো ভোটারের গোপনীয়তার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার বাধাগ্রস্থ করলে আইনানুযায়ী তাৎক্ষণিক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এতে আরও উল্লেখ আছে,ভোটকক্ষে ভোটারগণ যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপনকক্ষে ভোট প্রদানের ছবি তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণে ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম হলে, বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি অথবা রিটার্নিং অফিসার / আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে অবহিত করতে হবে।

আগামী ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে গোপনীয়তা রক্ষার বিধান প্রতিপালনে প্রিজাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণসহ নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে বিশেষভাবে যত্নবান হওয়ার জন্যও মাননীয় নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য যে, কোন নির্বাচন কর্মকর্তা বর্ণিত দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপরাগতা বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন,'গাইবান্ধা ৫ উপনির্বাচনে অনিয়মগুলো তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে গাইবান্ধা ৫ আসনের পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: