জাবিতে বিদ্যুৎ, মশা ও বর্জ্য সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৪২ পিএম

মোঃ আবু দারদা লিমন, জাবি থেকে: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত, মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সচল করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ০১:৩০ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরবর্তীতে দুপুর ০৩:০০ টায় উপাচার্য বরবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম তাৎক্ষণিক ভাবে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকাল ০৭:০০ টা থেকে ০৮:০০ টা, দুপুর ০১:০০ টা থেকে ০২:০০ টা এবং বিকেল ০৪:০০ টা থেকে ০৫:০০ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানান। এছাড়া মশা নিধনের জন্য আগামীকাল থেকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে স্প্রে করা হবে বলে আশ্বাস দেন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়েও আগামীকাল ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপাচার্য।

মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফার রহমান নবীন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে অব্যবস্থাপনার শেষ নাই। আজকে আমরা এখানে এইরকমই তিনটা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ নিয়ে দাড়িয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটা জায়গায় যেখানে গবেষণা কাজে পড়াশুনায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ আবশ্যক। এই সরকার সেটাও নিশ্চিত করতে পারছে না।

আরেকটা অব্যবস্থাপনা হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দীর্ঘদিন আমরা অনেক সংগঠন প্রসাশনের নিকট এর কথা জানিয়েছি। তবুও কেন প্রশাসন এই সমাধান করতে পারছে না? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সেন্ট্রাল সুয়ারেজ লাইন পর্যন্ত নাই। তৃতীয়ত মশার কথা বলতে গেলে বলতে হয় প্রথম বর্ষে আমার ব্যাচমেট মারা গেছে মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। এটা কিভাবে মেনে নেয়া যায়! এই অব্যবস্থাপনা গুলো প্রশাসনের নিরসন করতেই হবে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘আপনারা দেখবেন আমরা এই ক্যাম্পাসে তিন থেকে চারজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পেয়েছি। আজকে যখন ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে তখন ক্যাম্পাসের যত্রতত্র অব্যবস্থাপনা। অবিলম্বে মশা নিধনের ব্যবস্থা করুক, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুক। শতভাগ বিদ্যুতের নিশ্চয়তার ব্যাপারে যেখানে সরকার ঘোষণা দিচ্ছে সেখানে ক্যাম্পাস প্রশাসন এখন কেনো সেটা নিশ্চিত করতে পারছে না? আমরা আশা রাখছি যে এই ক্যাম্পাস প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা করবে, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে এবং পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করবে।’

সমাপনী বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বলা হত, এটা বোধহয় পরিহাস করেই বলা হতো। কারণ প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে পরিগণিত শিক্ষার্থীদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য মানববন্ধন করতে হয়। অরুনাপল্লি নামক বেগমপাড়া আছে, ইসলামনগর আমবাগান আছে। কিন্তু অভাগা শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ে আছে কীটপতঙ্গের মত। কীটপতঙ্গের মত শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে দেশ চালাবে এটা আপনি আশা করতে পারেন না।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: