কালীগঞ্জে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিখন কেন্দ্রে নানা অনিয়ম

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৫ পিএম

কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম (পিইডিপি-৪) প্রকল্প হযবরল পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলমান রয়েছে। সরকারে মহোতি এই উদ্যোগকে প্রশানবিদ্ধ করছে উক্ত প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সাহয্যকারী সংস্থা (এনজিও) “সৃজনী বাংলাদেশ”। কালীগঞ্জ উপজেলায় কাগজে কলমে এই প্রকল্পের অধীনে ৬৯টি শিখন কেন্দ্র উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে বেশ কিছু কেন্দ্র অদৃশ্যমান রয়েছে।

এই প্রকল্পে যে সব নিয়মনীতি মেনে পরিচালিত হওয়ার কথা রয়েছে তার কোনটিই মানা হচ্ছে না। প্রতিটি কেন্দ্রে ৮ থেকে ১৪ বছরের ৩০ জন ঝরে পড়া শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার কথা থাকলেও ৮ বছর বয়সের নিচে শিশু শিক্ষার্থীদের অধিক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। কোথাও কোথাও ভাড়া বাড়ি, ডায়নিং রুম, খোলা আকাশের নিচে, দোকান ঘরে, নির্মানাধীন ভবনের নিচে শিখন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে সমাবেশের স্থান নেয়। সব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার নিন্মমুখী হলেও হাজিরা খাতায় প্রায় শতভাগ দেখানো হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে শিক্ষা উপকরন দেওয়া হলেও শিক্ষর্থীদের জনপ্রতি বৃত্তির ১ শত ২০ টাকা কাউকেই দেওয়া হয়নি। কোন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস পরিধান অবস্থায় দেখা যায়নি।

আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম (পিইডিপি-৪) প্রকল্প কর্মসূচী প্রধান ওহিদুল ইসলাম এর নিকট শিখন কেন্দ্রের অনিয়মের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের মনিটরিং সমস্যা।

ঝিনাইদহ জেলা উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক সুরুজ্জামান জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প পরিচালিত না হলে অবশ্যই বাস্তবায়নকারী সংস্থা সৃজনী বাংলাদেশকে এ ব্যপারে জবাবদিহি করতে হবে।

এ প্রকল্পের উপজেলা ভ্যালিডেশন কমিটির সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন বলেন, সরকারের এই মহতি উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে যথাযথ ভাবে পালন হচ্ছে না। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির বেশকিছু ত্রুটিবিচ্যুতি ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের অবগত করেছি। আমি শুধু প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: