রাণীশংকৈলে বিদ্যালয়ের জমিতে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে হট্রগোল এবার কোর্ট পপর্যন্ত পৌছালো। ওই বিদ্যালয়ের জমির মোট প্রায় ৪৭ শতাংশ জমির মধ্যে ১২ শতাংশ জমির দাবীদার ওই বিদ্যালয় এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৪ আগষ্ট ঠাকুরগাঁও আদালতে ১৪৪ ধারা জারির আবেদনের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের ১২ শতাংশ জমিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি দিতে রাণীশংকৈল থানায় নোটিশ দেয়।
থানার পক্ষে সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) মোখলেসুর রহমান সম্প্রতি আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি নোটিশ দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় দীর্ঘ ২৪ বছর পর সরকারের এমপিওভুক্ত হওয়ায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা এখন বিদ্যালয়মুখি হয়েছে। বিদ্যালয়টির মূল অবকাঠামোর জমি ৩৪ শতক জমিসহ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিটির কাগজ পত্রের ঝামেলাটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করেই আগে সমাধান করেনি। তাই এখন এই ভেজালগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ জন্য স্থানীয়রা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছে।
জানা গেছে, কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়ে গত ২৪ বছর অপেক্ষার পর সরকারের এমপিওভুক্ত হয়েছে। এর আগে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক শিক্ষার্খী কেউ আসতো না। ছিল না চেয়ার বেঞ্চ। অবকাঠামো ছিল যেনতেন ভাবে।
গত ৬ জুলাই এমপিওভুক্ত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসা শুরু করে। প্রধান শিক্ষক অবকাঠামো মেরামত, মাঠ পরিস্কারের কাজ শুরু করে। এ সময় বিদ্যালয়ের জমি ঘেষাঁ রফিকুল ইসলামের ১২ শতাংশত জমি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের সাথে মিলিয়ে দখলে নেই কর্তৃপক্ষ।
পরে রফিকুল ইসলাম আবাদের লক্ষে প্রতিবারের ন্যায় ওই জমিতে হালচাষ দিতে গেলে বাধা দেয় কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দীনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। রফিকুল ইসলাম জানাই তারা যখন হালচাষ দিতে বাধা দেয়। কেউ যখন তার ন্যায্য বিচার করে দিচ্ছে না। তখন সে বাধ্য হয়ে ঠাকুরগাঁও আদালতে গিয়ে জমিটির ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মামলা করে। এতে বিবাদী করা হয় প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক সাহাবুদ্দিন, মতিউর রহমান, অফিস সহকারী গোলাম মোস্তফাকে।
এদিকে কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মূল অবকাঠামোর ৩৪ শতক জমির মালিকানা দাবী করছে পাশ্ববর্তী কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম। তিনি বলছেন, ওই বিদ্যালয়ের ৩৪ শতক সবার প্রথম তার বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি হয়েছে। ওই দাতারাই আবার দ্বিতীয় বার কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নামে রেজিস্টি দিয়েছে। আইন অনুযায়ী জমির মালিক তারা।
অন্যদিকে কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দীন বলছেন, প্রথমে কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ওই জমিতে প্রতিষ্ঠান করতে চেয়েছিল। সেই লক্ষে দাতারা তাদের জমি দিয়েছিল। সেখানে বিদ্যালয়টি স্থাপন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। তাই ওই দাতারাই আবার দ্বিতীয়বার কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নামে জমি রেজিস্টি করে দেয়। এবং সেই সাথে এফিডেভিট করে দিয়েছে। তাই জমির দাবীদাররা জমি পাবে না।
মামলা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক জমির উদ্দীন বলেন, এটি আগেই সমাঝোতা হয়েছে, হয়রানীর জন্যই এই মামলা। এটি আদালতেই মোকাবেলা করা হবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: