পুলিশ কনস্টবল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রবাসী জামাইয়ের ১৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩৭ এএম

বাগেরহাটে পুলিশ কনস্টেবল বাবর আলী শিকদার ও তার স্ত্রী মোসাঃ হাসিয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে নিজের প্রবাসী জামাইয়ের ১৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ বছরের প্রবাসে কাটিয়ে নিজের সকল সঞ্চিত সম্পদ হারিয়ে শশুর বাড়িতে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছের বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী মোঃ রমজান যশোর জেলার চৌগাছা থানার পাশাপোল গ্রামের মাহাবুর রহমানের ছেলে।

ভুক্তভোগী মোঃ রমজান জানান, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ঘোনারউলা গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল বাবর আলী শিকদারের মেঝো মেয়ে শার্মিন আক্তার রিমার সাথে ২০১৪ সালের ৭ই এপ্রিল বাগেরহাট নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমি মালোয়েশিয়া চাকরির জন্য চলে যাই। ২০১৯ সালে শেষের দিকে আমি দেশে আসি। মলোয়েশিয়া থাকাকালিন প্রতি মাসে আমার শাশুড়ী মোসাঃ হাসিয়ারা বেগমের কচুয়া শাখার কৃষি ব্যাংকের একাউন্টে জমি কেনা বাবদ সর্বমোট ১৮ লক্ষ টাকা পাঠাই। আমি দেশে ফিরে আমার শশুর ও শাশুড়ীর কাছে জমির বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ১৮ কাঠা জমি ক্রয় করা হয়েছে।

এ সময় বাকি টাকার হিসাব চাইলে আমার শশুর সাফ জানায় তুমি আমাদের কাছে কোন টাকা পাবা না। আমি কারন জানতে চাইলে আমার শশুর ও শাশুড়ী আমাকে জোর পূর্বক একটি ঘরে আটকে রাখে। তারা আমারে জোর করে পবিত্র কোরআন শরীফ দিয়ে শপথ করায় যাতে আমি পিতা মাতাসহ পরিবারের করো সাথে যোগাযোগ না করতে পারি। সেই থেকে আমি আমার বাবা মাসহ পরিবারের কারো সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে পারি না।

তিনি কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, একজন মানুষ বিদেশে থেকে যে অর্থ উপার্জন করে ঐ টাকা দিয়ে সারা জীবন চলার চিন্তা করে। কিন্তু আমি কষ্ট করে টাকা আয় করেও একটি দিনের জন্যও উপার্জিত অর্থের সুফল পাইনি। আমি এখন আমার শশুর বাড়ীতে শাশুড়ী ও শালিকার এক প্রকার নজর দারিতে রয়েছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, আমার শশুর ও শাশুড়ি অত্যন্ত লোভী প্রকৃতির। তারা আমিসহ আমার নানী শাশুড়ীকে আমৃত্যু ভরোনপোষন দেওয়ার কথা বলে ৯৫ শতক সম্পত্তি লিখে নিয়েও তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার শশুর পুলিশ কনস্টবল হয়ে স্বল্প বেতনে চাকরি করে। কিন্তু অজোপাড়াগায়ে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি ও প্রচুর সম্পত্তি। তিনি তার সকল কষ্টার্জিত টাকা ফেরত ও নিজের বাড়িতে ফিরতে প্রশাসনসহ বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: