৩২ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১১:১৬ এএম

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের বালুটুঙ্গি এলাকার মরা দাঁড়ার উপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় একটি সেতু। তবে ৫ বছর ধরে এ সেতুতে স্থাপন হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে সাধারণ মানুষকে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পার হতে হচ্ছে।

বালুটুঙ্গি গ্রামে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সেতু আছে নেই সংযোগ সড়ক। তাই বেশ কিছুদিনের বন্যা আর বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সেতুর দু'পাশ। আর এক পাশে থৈই থৈই করছে পানি। এতে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছেন শত শত মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতোদিন হয়ে গেলেও সেতুর সংযোগ সড়কটি হয়নি। সেতুর দুই পাশ মাটি দিয়ে ভরাট করা হলেও বন্যা ও বৃষ্টির কারণে মাটি আর থাকে নি। উপায় না থাকায় বাঁশোর সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এই সেতুর ওপারে খুব বেশি মানুষের বসবাস না হলেও অনেক ফসলি জমি রয়েছে। তাই সেতুটি পারপার অনেক জরুরী।

ওই এলাকার বাসিন্দা কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপারে আমার তিন বিঘা জমি আছে। এতে পাট, আখ সহ বিভিন্ন জাতের ফসল হয়। কিন্তু গাড়িতে করে ফসলগুলো আনা সম্ভব হচ্ছে না। আর এবার বন্যর পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে মাথায় করেও নিয়ে আসতে পারছি না ফসল। আমাদের দাবি- এই সেতুর দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ করা হোক। এতে স্থানীয়দের ভোগান্তি কমে আসবে।

দুর্লভপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, সেতুটির ওপারে বহু মানুষের ফসলি জমি রয়েছে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় ফসল আনতে পারছেন না কৃষকরা। বিশেষ করে ওই এলাকার মানুষের এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় পাটগুলো ঘরে তুলতে কষ্ট হয়েছে কৃষকদের। আর সেতুটির ওপারে একটি ছোট গ্রামও রয়েছে। সেখানকার মানুষকেও কাঁদা পানি পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়।

দুর্লভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজিব মোবাইল ফোনে জানান, সেতুটির দুই পাশে মাটি তুলে দেয়া হয়েছিল। বন্যা ও বৃষ্টিতে কেটে গেছে। পানি কমলে ফের মাটি তুলে দেওয়া হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, সম্প্রতি আমি ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। বন্যার করণে সেতুর পাশের মাটি সরে গেছে। আমি দ্রুত ব্যাবস্থা নিব।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: