‘আমারে প্রায় খাইয়া ফেলছিল’
জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরে জেলা আওয়ামী লীগে বিভেদ বিদ্যমান। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলায়। এমনটাই দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মহিউদ্দিন এমন মন্তব্য করেছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রাথী গোলাম মহিউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম বজলুল রহমান। নির্বাচনে গোলাম মহিউদ্দিন ৪৫২ এবং বজলুলু রহমান ৪২৫ ভোট পেয়েছেন।
আলোচন সভায় এই ভোটের ব্যবধানের প্রসঙ্গ তুলে গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ওই প্রার্থী কোন মিছিল, মিটিং করেনি। কোন অফিস ছিল না। কাউকে খাওয়ানি। সে বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা অন্য কোন দলের লোকও নয়। সেভাবে পরিচিতও না। তারপরও সে আমারে প্রায় খাইয়া ফেলছিল।
গোলাম মহিউদ্দিন আরো বলেন, আমাদের মধ্যে সামান্য হলেও মতভেদ আছে। ক্ষীণ হলেও অনৈক্য আছে। এটা আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে। তা না হলে আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে এই অনৈক্য নিয়ে আমরা কিভাবে জয়ী হব। সভাপতির বক্তব্যের সময় পাশে বসেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম। তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে নিষেধ করলে আঙুল উচিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সভাপতি-সম্পাদক। উপস্থিত অন্যান্য নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের কয়েকজন বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে দলের বেশ কয়েক শীর্ষ নেতা কাজ করেছেন এটা ওপেন সিক্রেট। মহিউদ্দিন আহম্মেদ যথার্থ বলেছেন বিষয়টি পর্যালোচনা বা তদন্ত হওয়া উচিৎ। দলের সভাপতির বক্তব্য নিয়ে ভিন্নমতও প্রকাশ করেছেন নেতারা। তাদের ভাষ্য, বিষয়টি প্রকাশ্যে সভায় এ নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হয়নি। দলীয় ফোরামে আলোচনা করা উচিৎ ছিল।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: