স্ত্রীকে মেরে কর্মস্থলের ড্রামে রেখে দুই দিন অফিস করেন স্বামী

শ্বাসরোধে স্ত্রীকে মেরে ফেলে ড্রামে ভরে নিজ কর্মস্থলে নিয়ে যান স্বামী। সেখানে গুদামে ড্রামটি রেখে দুই দিন অফিস করেন। পরে ড্রামটি রাস্তার ধারে ফেলে দেন। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে ড্রামভর্তি অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত নারীর নাম আতিয়া আক্তার (১৮)। তাকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সোহানুর রহমানকে (২২) বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আতিয়াকে হত্যার পর অন্যের সহযোগিতায় লাশ ড্রামে ভরে ফেলে দেন। স্বামী সোহানুরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিক ও লিটন।
পুলিশ জানায়, দুই মাস আগে মামাতো বোন আতিয়াকে বিয়ে করেন সোহানুর। তিনি নগরের পতেঙ্গা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ঝগড়া হয়। এর জেরে সোহানুর ক্ষিপ্ত হয়ে ১১ অক্টোবর রাতে আতিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে হত্যা করেন।
সোহানুরের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, আতিয়াকে হত্যার পরদিন সকালে সোহানুর তার পূর্বপরিচিত রুবেল ও আশিককে বাসায় ডেকে নেন। তাদের সহযোগিতায় স্ত্রীর মরদেহ একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে রাখেন। বাসার আশপাশের লোকজন সন্দেহ করতে পারেন; এমনটা ভেবে সোহানুর তার কর্মস্থল একটি নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গুদামে লাশভর্তি ড্রামটি নিয়ে যান। বাসা ছেড়ে দেওয়ায় কিছু সময়ের জন্য ড্রামভর্তি মালামাল কর্মস্থলের গুদামে রাখার কথা বলেন তিনি। গুদামে ড্রামভর্তি স্ত্রীর লাশ রেখে ১২ ও ১৩ অক্টোবর দুই দিন কাজ করেন সোহানুর।
সোহানুর পুলিশকে বলেছেন, ১৩ অক্টোবর রাতে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে কর্মস্থলের গুদাম থেকে ড্রামটি বের করেন তিনি। ড্রামভর্তি লাশটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে নিয়ে যান পতেঙ্গার কালীবাড়ি এলাকায়। পরে ড্রামভর্তি লাশটি সড়কের পাশে ফেলে দেন তিনি। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেন অটোরিকশাচালক লিটন। এ জন্য তাকে ভাড়াসহ মোট তিন হাজার টাকা দেন। স্ত্রীর লাশ ফেলে সোহানুর কুমিল্লা চলে যান।
প্রসঙ্গত, ১৩ অক্টোবর নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার কালীবাড়ি সড়কের পাশ থেকে ড্রামভর্তি অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
ইমদাদ/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: