বগুড়ায় শিশু তাবাসসুমকে ধর্ষণ-হত্যা, ৪ জনের মৃত্যুদন্ড
বগুড়ায় আলোচিত শিশু তাবাসসুমকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৪ যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রোববার (২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এই রায় দেন। দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন- বাপ্পি আহম্মেদ, কামাল পাশা শামিম রেজা ও লাভলু শেখ। এদের সবার বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার নছরতপুর গ্রামে।
২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একই এলাকার সাত বছরের মাহি উম্মে তাবাসসুমকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে গ্রামের বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখা হয়। পরে খোঁজাখুজিঁর পর ওই রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনেরা। এ ঘটনার পরপরই বগুড়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর পুলিশ ঘটনা জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আদালত সূত্র, তাবাসসুমের বাবা-মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সে ও তার বোন দাদির সঙ্গে বসবাস করত। ঘটনার দিনে গ্রামের ওয়াজ মাহফিল চলছিল। সেখানে মিষ্টি কিনতে কয়েকবার যায় তাবাসসুম। সন্ধ্যার পর আবার মিষ্টি কিনতে গেলে সেখানে বাপ্পী তাকে বাদাম কেনার লোভ দেখিয়ে মাহফিলের পাশের একটি কলেজের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে বাকি আসামীরা আগে থেকে অবস্থান করছিল। এর পর তারা ওই শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এদিকে অনেকক্ষণ নিখোঁজ থাকায় পরিবারের সদস্যরা তাবাসসুমকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে গ্রামের বাঁশঝাড়ে তাকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাবাসসুমকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় পরের দিন তার বাবা বেলাল হোসেন খোকন অজ্ঞাত নামে থানায় মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর চার আসামী গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তীতে ২৬ ডিসেম্বর বাপ্পী, শামিম ও লাভলু আদালতে জবানবন্দি দেন। আর কামাল পাশা জবানবন্দি দেন ২৯ তারিখে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, এ মামলায় ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এতে তাবাসসুমের মরদেহে আসামীদের বীর্যের উপিস্থিতিও পাওয়া যায়। ধর্ষণ ছাড়াও ময়নাতদন্তে ওই শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে পুলিশ ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বরে আদালতে মামলার পূর্নাঙ্গ চার্জশিট জমা দেয়।
তিনি বলেন, মামলায় সব সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রোববার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামীকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর নিহত তাবাসসুমের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, আসামীদের সবাইকে আমার মেয়ে চিনত। ওদেরকে ভাই বলে ডাকতো। এই রায়ে শান্তি পেলাম আমি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: