নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা দুস্কৃকারীদের শত্রু: আহসান হাবিব

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৫:২৪ পিএম

নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে, (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন,নির্বাচনে যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে তারা কিন্তু সিসি ক্যামেরা এভয়েড করেন।নির্বাচনে মাঠে সিসি ক্যামেরা দুস্কৃতিকারীদের জন্য শত্রু হিসেবে কাজ করে বলে দাবি করেন এ নির্বাচন কমিশনার। সোমবার (২৪ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

মো.আহসান হাবিব খান বলেন, সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে কেমন ফল পেয়েছি তা সবাই জানেন। এটা কতটা স্বচ্ছতা এনেছে, কুমিল্লা সিটিতে সুফল পেয়েছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনেও পেয়েছি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনগুলোতেও ব্যবহার করবো।

তিনি বলেন, যাদে অসৎ উদ্দেশ্য আছে তারা কিন্তু সিসি ক্যামেরা এভয়েড করেন। আবার কেউ কেউ মনে করে প্রাইভেসি নষ্ট করছে সিসি ক্যামেরা। বাসার সামনে, রাস্তা-ঘাটে; সব জায়গায় ক্যামরা বসানো। যারা দৃস্কৃতিকারী তাদের জন্য সিসি ক্যামেরা শত্রু হিসেবে কাজ করে। আর যারা ভাল তাদের মিত্র হিসেবে কাজ করে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেট প্রাপ্যতা সাপেক্ষে আমরা জাতীয় নির্বাচনে সিসি নির্বাচনে ব্যবহার করবো। অতীতে যেমন সুলফ পেয়েছি ভবিষ্যতেও পেতে চাই। আমরা এখানে পরীক্ষা দিকে আসি নাই। ভাল নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে প্রতিটা নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন; সবগুলোতে। আমরা চাপের মধ্যে কখনো ছিলাম না। সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কিমিটি। তারা কম্পাইল করছেন। অনেক বড় বিধায় তারা সময় (তিনদিন) চেয়েছে। কমিশন হয়তো সময় দেবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন,' তদন্ত প্রতিবেদনটা আমরা কমপ্লিট করতে পারে নাই। ৩ দিন সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। ফাইল পাঠানো হয়েছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে সভাপতি করে গঠিত এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলে ইসির যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও শাহেদুন্নবী চৌধুরী।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা- ৫ আসনে উপ-নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটরিং করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোট গ্রহণের চারঘণ্টার মাথায় ১৪৫ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১ টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড়ঘণ্টা আগেই এ ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন।

ভোট বন্ধের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ে বর্তমান কমিশন৷ ইতোমধ্যে গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচনে অনিয়ম চিহ্নিত করে সুপারিশ দিতে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের বক্তব্য নিয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: