ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪৩ পিএম

মো. রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) থেকে: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে গাজীপুর কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। সিত্রাং চলে গেলেও এর প্রভাব এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পৌরবাসী। উপজেলার দড়িসোম এলাকার বিভিন্ন গলিতে হাটু সমান পানি জমে থাকায় জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দড়িসোম এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোন ড্রেনেজ সিস্টেম। জলাধার গুলো ভরে ফেলায় বাড়ীর উঠোন, অলি-গলি সর্বত্র পানি জমে আছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় নর্দমায় পরিপূর্ণ এসব পানি মাড়িয়ে পথ চলতে হচ্ছে পৌর বাসীর। এতে করে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুকি দেখা দিচ্ছে।

দড়িসোম এলাকার মো. সানি (২৫) বলেন, আমাদের এলাকায় আগে ডোবা নালা ছিল। বৃষ্টি হলে তার পানি সব গিয়ে ডোবায় জমা হতো। কিন্তু এখন অপরিকল্পিত ভাবে নগরায়ন হয়ে যাচ্ছে। যাতে করে পানি নিষ্কাশনের কোন জায়গা ও নেই। তাই একটু বৃষ্টি হলেই পানি চলে আসছে ঘরের ভিতর। অতিদ্রুত এখানে ড্রেনেজ সিস্টেম করা না গেলে ভোগান্তি আরো বাড়বে।

একই এলাকার মো. রমজান আলী (৫৫) জানান, তিনি শ্বাসকষ্টের রোগী। প্রায় প্রতিদিনই সরকারী হাসপাতালে যেতে হয়। তার ঘর থেকে বের হলেই হাটু সমান পানি। যা মাড়িয়ে গেলে তিনি আরো বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে যাবেন। আর এ জন্য আজ ৩দিন ধরে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারছেন না।

অপর ভুক্তভোগী তাসলিমা বেগম (৩৫) বলেন, আমি স্থানীয় একটি তৈরী পোশাক কারখানায় কাজ করি। ঝড়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তার পানি নামেনি। জমে থাকা পানিতে নোংরা গন্ধের পাশাপাশি ময়লাও ভেসে থাকে। এসব পানি মাড়িয়ে অফিসে গেলে গা থেকে বিশ্রী গন্ধ আসে। যা খুবই বিব্রতকর। এর প্রতিকার হওয়া জরুরী।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌর মেয়র এসএম রবীন হোসেন বলেন, আমি ঝড়ের পর পৌর এলাকার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি চেষ্টা করছি স্থানীয় কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে আপাতাত এই দুর্ভোগের নিরসন করতে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা একটা স্থায়ী সমাধান করতে পারবো।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: