বাগেরহাটে পাচারের শিকার ৫৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার, বাবা-ছেলে আটক

বাগেরহাটের ফকিরহাটে মানবপাচার চক্রের সদস্য বাবা-ছেলেকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এদের আটক করা হয। এসময় বাস থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নেওয়া নারী, শিশুসহ ৫৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে র্যাব-৬ এর সদস্যরা। উদ্ধার হওয়াদের বাড়ি পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আটককৃতরা হলেন, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী এলাকার মৃত বাবর আলী গাজীর ছেলে মোঃ লিটন গাজী (৫৪) ও লিটনের ছেলে মোঃ সোহাগ গাজী (১৯)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে পাইকগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে র্যাব-৬ খুলনার সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) বজলুর রশীদ পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) বজলুর রশীদ বলেন, মানব পাচারকারী মোঃ লিটন গাজী ও তার ছেলে মোঃ সোহাগ গাজী নড়াইল জেলার একটি ইট ভাটায় কাজ দেওয়ার কথা বলে নারী ও শিশু সহ ৫৯ জন দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে একটি বাসে তোলে। র্পূব পরকিল্পনা ওইসব ব্যক্তিদের নড়াইলে না নিয়ে রুপসার খান জাহান আলী সেতু অতক্রিম করে। তখন শ্রমিকরা বুঝতে পারে তাদের ফাঁকি দিয়ে অন্যত্র কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক র্পযায়ে তারা জানতে পারে যে তাদেরকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাটজাহারীতে এক ব্যক্তির ইট ভাটায় তাদের বিক্রি করা হবে। এটা বুঝতে পেরে শ্রমিকরা বাসের মধ্যে হট্টগোল ও চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। গাড়ির পিছু নিয়ে ফকিরহাট এলাকা থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার এবং মানব পাচারকারী মোঃ লিটন গাজী ও তার ছেলে মোঃ সোহাগ গাজীকে আটক করা হয়। মামলা দায়ের পূর্বক তাদেরকে পাইকগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: