বশেমুরবিপ্রবিতে পরিবহন চালকদের তেল চুরির সিন্ডিকেট

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১৩ পিএম

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বাস থেকে তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস গাড়ী নং ১ (গোপালগঞ্জ সং ১১-০০০১), ৩ (গোপালগঞ্জ সং ১১-০০০৩), ৭ (গোপালগঞ্জ সং ১১-০০০৭) এবং ১১ এই ০৪টি বাসের তেলের ট্যাঙ্কের তালা ভেঙ্গে গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে তেল চুরি হয়।

সরোজমিনে পরিদর্শন করে বাস সমূহ রাখার ডিপোতে বিভিন্ন স্থানের মাটিতেই তেল পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং কয়েকটি তেলের ট্যাঙ্কার ভাঙ্গা পাওয়া যায়। পরিবহন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী পাম্প থেকে সব পরিবহনের ট্যাঙ্ক পরিপূর্ণ করে রাখা হয়। তবে ড্রাইভার ঝন্টু কর্তৃক চালিত ১১ নং বাস পরিপূর্ণ করার সময় ট্যাঙ্কে প্রায় ৮৭ লিটার তেল কম পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে দীর্ঘদিন ধরেই কতিপয় ড্রাইভার ও হেল্পারদের তৎপরতায় তেল চুরির বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।

চুরির বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘২৬ তারিখ রাত ৯টার থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত আনসার বাহিনী বাস ডিপোতে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে। ৯টার দিকে এক আনসার ডিউটিতে গেলে একটি গাড়ির তেলের ট্যাঙ্কের মুখ খোলা পায় এবং ট্যাঙ্গের ভিতর পাইপ ঢুকানো পায় সেই সাথে পাশে একটি ফাকা ৩০ লিটারের ড্রাম গাড়ির নিচে পড়ে থাকতে দেখে।’

তিনি আরও বলেন ‘রাত ১১ টার দিকে আমরা আজগর আলী নামে এক বাস ড্রাইভারকে মোটরসাইকেল ওইদিকে যেতে দেখি যার অল্প সময় পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি পরিবহণ দপ্তরে অবগত করি’ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সেই রাতে ক্যাম্পাসে আজগর আলীর ডিউটি থাকলেও রাত ১২ টার দিকে পরিবহণ ডিপোর দিকে ঘুরে সে ক্যাম্পাসে থেকে বের হয়ে অন্যত্র যায় এবং পরবর্তীতে ভোর ৪ টার দিকে ফিরে আসে।

তেল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবি পরিবহণ প্রশাসক হাসেম রেজা জানান, ‘আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এমন বেশ সংশ্লিষ্ট বিষয় আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতার ভিত্তিতে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান জানান, ‘এখনো আমাদের কাছে রেজ্যুলেশন আসেনি। আসলে পরবর্তীতে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেলে বাস, অ্যাম্বুলেন্স, জীপ ও মাইক্রোবাস মিলিয়ে সর্বমোট ২৭টি পরিবহণ রয়েছে। তন্মধ্যে দুটি এসি কোস্টারসহ বাস সংখ্যা ১৮টি, উপাচার্য দপ্তরের জীপ ও মাইক্রোবাস সংখ্যা ৪টি, পরিবহণ সেলে শিক্ষক জীপ ও মাইক্রোবাস ৫টি। বাস সমূহ শিডিউল অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিয়ত খুলনা, গোপালগঞ্জ শহর, টুঙ্গিপাড়া, সাতপাড়, কোটালিপাড়া, মুকসুদপুর, কাশিয়ানি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে যাতায়াত করে। বর্তমানে একটি এসি কোস্টার মেরামতে এবং দুটি বাস নষ্ট অবস্থায় আছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: