বাউফলে এক নারী কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলা

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২, ১২:০৩ এএম

পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলে উপমা ইসলাম ওরফে রুপা (৩২) নামে এক কলেজ শিক্ষককের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই শিক্ষককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

উপমা ইসলাম ঢাকার একটি কলেজের জীববিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, নাঈমুল ইসলাম ওরফে সিয়ামের (২৫) নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি দল তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। ওই সময় হামলাকারীরা তাঁর শ্লীলতাহানিসহ তাঁর বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও মধ্যমা আঙুল কামড়িয়ে আহত করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত কলেজ শিক্ষকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষকের বাবা আবদুল খালেক মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে তাঁর স্ত্রী মোসা. হাওয়া বেগমের (৫৬) সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্ধ দেখা দেয়। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে হাওয়া বেগম তাঁর বাবার বাড়ি দশমিনা উপজেলার জমিনমৃধা গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মৃধার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে এসে দুই সন্তান মো. মাইনুল ইসলাম ওরফে সোহাগ ও উপমা ইসলামকে দেখাশুনা করে আবার চলে যেতেন। চলতি বছরের ১১ জুন আবদুল খালেকের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা. আনোয়ারা বেগম (৫০) মারা যান। এরপরে আবদুল খালেকের প্রথম স্ত্রী হাওয়া বেগমকে তাঁর দুই সন্তান তাঁদের বাবার বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এ নিয়ে আবদুল খালেকের দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান নাঈমুল ইসলাম ও ফারজানা নিপার সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের বিরোধ সৃষ্টি হয়।আবদুল খালেকের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানেরা প্রথম স্ত্রীসহ তাঁর দুই সন্তানকে ওই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চান। আর প্রথম স্ত্রীর সন্তানেরা তাঁর মায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে ওই ঘরে থাকতে চান।

শিক্ষক উপমা ইসলাম বলেন, তিনি এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে এসেছেন। মাকে নিয়ে বাবার ঘরে আছেন, এটা কোনোভাবেই নাঈমুল ইসলাম মানতে পারছে না। এর আগে চলতি মাসের ২ অক্টোবর তাঁর বড় ভাই মাইনুল ইসলামকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। মাইনুল ইসলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিজিওথেরাপিস্ট। ওই ঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার তাঁর (উপমা) ওপর হামলা চালিয়ে শ্লীলতাহানিসহ তাঁর বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও মধ্যমা আঙুল কামড়িয়ে আহত করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানার জন্য নাঈমুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি ধরেননি। ক্ষুদেবার্তা দিলেও সাড়া দেননি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পূর্বের ঘটনায় প্রকৃতভাবে জড়িত এমন ব্যক্তিদের নামে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেরকম অভিযোগ দেননি। আজকের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: