যুবলীগের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে মাইক্রোবাসে ধাক্কা, ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৮ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদলের মশাল মিছিল শেষে মিছিলকারীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলা থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাতে গিয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম অমিত হাসান অনিক (১৮)। অমিত কাঞ্চন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ সভাপতি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত এক তরুণ রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়৷ তার মুখমণ্ডল, মাথা, বুকে গুরুতর আঘাতের ক্ষত ছিল।“ এছাড়া  নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল হোসেন মামুন জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে মশাল মিছিল বের করেন রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিছিল শেষে অনিকসহ ৬ থেকে ৭ জন ভুলতা গাউছিয়া মুন্সি তেলের পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। তাদের মারধর করে। মারধর থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে অনিক। তখন একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দেয়।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান জানান, রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল করে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলের প্রায় শেষ পর্যায়ে হঠাৎ লাঠিসোটা, রামদা ও রড নিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় অনিকসহ সাতজন নেতাকর্মী আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রদল নেতা অনিককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অনিক।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, মশাল মিছিলে হামলার ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ নিহত হয়েছেন এমন কিছু এখনও জানতে পারিনি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ভূঁইয়া বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে আমরা সবাই ভুলতা গাউছিয়ায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী স্যারের মিটিংয়ে ছিলাম৷ মিটিং শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়৷  “এরপর আমরা এলাকায় ফিরলেও ঘটনাস্থল পর্যন্ত যাইনি। কাউকে ধাওয়াও দেইনি। এ ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত না৷”

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: