সিলেটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর: বিএনপির ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০৪:২৭ পিএম

সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার জেরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় দলটির ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার সবুজ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করবন। মামলায় ২৫০ জনকে আসামি করা হলেও কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের আগেই ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনে তাদের আটকের পর মঙ্গলবার বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এখন এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইশতিয়াক আহমদ রাজু, বদরুল ইসলাম নজরুল, মিলাদ আহমদ ও রাজীব আহমদ। গ্রেপ্তারকতৃরা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। মামলার বাদী জাহিদ সারোয়ার সবুজ বলেন, বিএনপির একটি মিছিল থেকে রোববার রাতে নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করা হয়। এতে আমরা সকলেই ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, ভাংচুরকারিদের চিনতে না পারায় এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

রোববার রাত ৯ টার দিকে নগরের বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। এ হত্যাকাণ্ডের পর রোববার রাত ১১ টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। লাঠিসোটা নিয়ে এই মিছিলে অংশ নেন অনেকে।

মিছিল থেকে সিলেট ও জেলা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত তোরণ ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া সিলেট জেলা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভাস্থল রিকাবীবাজার এলাকার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলকে ধাওয়া দেন। দুপক্ষের মাঝে বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে এসময়। খবর পেয়ে দ্রুত কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কামাল হত্যার পর নগরে যে সব ঘটনা ঘটেছে তার সাথে বিএনপির কেউ জড়িত নয়। আমাদের নেতা মারা যাওয়ায় দলের সবাই মর্মাহত। এ অবস্থায় কেবল হয়রানির জন্য এই মামলা দেয়া হয়েছে।

এদিকে কামাল হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তার ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: