লালমনিরহাট সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০৬ পিএম

লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলী সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের ১ শত গজ অভ্যান্তরে কৈমারী এলাকায় বিএসএফ এর গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ এবং আর এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবেনা বলে আশ্বস্থ করেছেন বিএসএফ।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম।

বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোররাতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত মেইন পিলার ৯২১ এর সাব পিলার ৬ এর সন্নিকটে ভারতীয় অংশের ১শত গজ অভ্যান্তরে কৈমারী এলাকায় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা চোরাকারবারি সন্দেহে গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওয়াজকুরুলী (৩২) ও আয়নাল হক (৩০) নামের দুই বাংলাদেশী ঘটনা স্থলেই মারা যায়।এঘটনায় ১৫ বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ পত্র ও পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দিলে বুধবার ৯ অক্টোবর দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আন্তর্জাতিক সীমান্ত মেইন পিলার ৯২১ সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মোগলহাট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোঃ আশরাফুল হক ও ভারতীয় ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈমারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার থানেছ হার ভোরহা নেতৃত্ব দেন।

নির্ভরযোগ্য সুত্রগুলো জানায় মহিষতুলি সীমান্ত এলাকা হয়ে সীমান্ত পিলার ৯২১ এর সাব পিলার ৬ সংলগ্ন ১শত গজ ভারতের অভ্যান্তরে কৈমারী এলাকায় গরু পারাপারে লক্ষে অনুপ্রবেশ ঘটায় ৫/৭ জনের একটি দল।এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ছোড়া গুলিতে ওয়াজকুরুনী ও আয়নাল হক নামের দুই বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়।

নিহত ওয়াজকুরুনী (৩২) আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতুলি গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত সানোয়ার হোসেনের পুত্র। অপরজন একই ইউনিয়নের ঝাড়ির ঝাড় এলাকার সাদেক আলীর পুত্র আয়নাল হক (৩০)।

স্থানীয়রা জানান, ভোর রাতে গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিলো, তবে কে বা কারা সীমান্তে গিয়েছিলো তা নিশ্চিত নয় তারা।পরে সকালে ওয়াজকুরুনী ও আয়নাল হকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আমরা জানতে পারি।

নিহত আয়নাল হকের পিতা সাদেক আলী বলেন,ভোর বেলা বাড়ির গেটে কে বা কারা একাধিকবার শব্দ করছিলো।বের হয়ে ছেলের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখলাম। তবে আশপাশে কেউ ছিলো না।

ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নিহতদের গরু পারাপারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত থাকার কথা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে গরু পারাপারের গিয়ে নিহত হওয়ার খবর পেয়ে আয়নাল ও ওয়াজকুরুনীর বাড়িতে গিয়েছিলাম।নিহতদের বাড়িতে পুলিশ ও বিজিবি রয়েছে এবং তারা আইনি প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে।

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম জানান, নিহতদের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।লাশের ময়না তদন্ত শেষে দাফনের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।এব্যাপারে আদিতমারী থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।অভিযোগ পেলে প্রশলিত বিধিঁমত নেয়া হবে পরবর্তী ব্যাবস্থা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: