দরজার চাবির জন্য প্রাণ গেল নবদম্পতির

নাসির উদ্দিন টিটু, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: মাত্র দেড় মাস আগে বিয়ে হয়েছিল কাজল ইসমাইল দম্পতির। সুখে শান্তিতে কাটছিল তাদের জীবন, নতুন সংসার সাজাতে ছিল নানা আয়োজন। হঠাৎই একটি চাবির গোছা পাল্টে দিল সব। বিদ্যুতের তারে আটকে যাওয়া চাবি পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জীবন দিতে হলো নবদম্পতিকে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট নবদম্পতি হলেন- ইসমাইল (২০) ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ কাজল আক্তার (১৮)। বৃহস্পতিবার (১০ই নভেম্বর) রাত পৌনে ১টার দিকে আটিবাজারের সুজন হাউজিংয়ের ৪ নং গলির সাহিদা বেগমের বাড়ির চার তলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা এলাকার জামাল মিয়ার মেয়ে কাজল আক্তারের সাথে মাত্র দেড় মাস আগে একই গ্রামের বাসিন্দা আগানগর সিনেমা হল এলাকার কাপড়ের দোকানদার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইসমাইলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নবদম্পতি পরিবারসহ আটিবাজার সুজন হাউজিংয়ের সাহিদা বেগমের বাড়ির ভাড়া থাকতো।
বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাবা মোহাম্মদ আলী বাসার ফেরার পর বাড়িতে ঢোকার মেইন গেট বন্ধ থাকায় চারতলার ফ্লাটের বারান্দা দিয়ে ছেলেকে গেটের চাবি নিচে ফেলতে বললে তা বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। পরবর্তীতে ছেলে একটি এস. এস পাইপ দিয়ে বিদ্যুতের তারের থেকে চাবি সরাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এ সময় পাশে থাকা স্ত্রী কাজল তাকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত পৌনে ২টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক উভয়কেই মৃত ঘোষণা করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মোঃ আশিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি নিজেকে একটি দুর্ঘটনা পরিবারের পক্ষ থেকে কারো কোন প্রকার অভিযোগ নেই। নিহত দম্পতির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে ।পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: