বাসে সিট রাখা নিয়ে কর্মীকে চড় ছাত্রলীগ নেত্রীর

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২, ০৫:২৩ পিএম

সম্প্রতি বাসে সিট রাখা নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিনের বিরুদ্ধে। তবে ফাইজার অভিযোগ তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছে জাহাঙ্গীর।

এর আগে গত বুধবার( ৯ নভেম্বর) রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সাড়ে ৮টার বাসে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও তার বন্ধু ওয়াসিম আকরাম বাসে খাতা দিয়ে সিট রাখেন। পরে ছাত্রলীগ নেত্রী ফাইজা তাদের খাতা ফেলে দিয়ে নিজের ও বান্ধবীর জন্য সিট দখল করেন। জাহাঙ্গীর ও তার সহপাঠী ব্যাগ ফেলে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডতা হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরকে থাপ্পড় দেন ফাইজা এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তবে ফাইজার দাবি এ সময় জাহাঙ্গীর তাকে হেনস্তা করেন।

ভুইক্তভোগী ছাত্রলীগকর্মী জাহাঙ্গীর জানান, ‘বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে আমি আমার বন্ধুর জন্য পাশে সিট রাখি। উনি (ফাইজা) এসে আমার খাতাটা সিট থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। তারপর আমার রাখা সিটে অন্যজনকে বসতে দেন। আমি বলেছি, আপনি যদি বলতেন আমি সিটটা দিতাম। কিন্তু উনি বলেছে এরকম সিট রাখার কোনো নিয়ম নাই। আমার সাথে চিল্লাচিল্লি করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে আমাকে থাপ্পড় মারেন।’

তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বাসে সে (জাহাঙ্গীর) আমার সাথে অনেক বাজে বিহেভ করছিল। কিন্তু ওর (জাহাঙ্গীরের) গায়ে হাত দিইনি। সে কথা বলার এক পর্যায়ে তার ব্যবহার এমন ছিল যে, সে আমার গায়ে হাত দেবে। সেটা একজন মেয়ে হিসেবে আমার পছন্দ হয়নি। আমি তার ভাষায় তাকে জবাব দিয়েছি, সেটা তার গায়ে লেগেছে। সে বলছে, আমি নাকি মেয়ে তাই ছেড়ে দিয়েছে। সে ও তার বন্ধুরা মিলে এমন বাজে বিহেভ করেছে, যার কারণে আমি মানসিকভাবে বিরক্ত ফিল করেছি।’ ফাইজার অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বাসের সবাই দেখেছে কে কী করেছে। তিনি যেহেতু বাসে আমাকে সবার সামনে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন, এখন আমি প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেব।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ জানান , ‘আমি তো কমিটির বিষয় নিয়ে ঢাকায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে যে দোষী তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’ এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: