চুরির ছাগলসহ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৪১ পিএম

নওগাঁর মহাদেবপুরে ছাগল চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মুন্না সরদারসহ (২২) দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ। মুন্না সরদার উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের সফাপুর সরদারপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দীকের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া আরেকজন হলেন- একই গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মুক্তার হোসেন (৩৫)।

মহাদেবপুর থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন কালবেলাকে বলেন, ছাগল চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদীপুর গ্রাম থেকে চুরি করা ছাগলসহ তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুন্না সরদার ও মুক্তার হোসেন মোটরসাইকেলে একটি ছাগল নিয়ে দ্রতগতিতে যাওয়ার সময় সেকেন্দার নামের একজন সাইকেল আরোহীর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সেকেন্দার পড়ে গিয়ে আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা মোটরসাইকেল আটকিয়ে দ্রতগতিতে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, ছাগল নিয়ে হাটে যাচ্ছেন। তাদের আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। তারা ছাগলটি দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে চুরি করে হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানতে পারেন।

এদিকে ছাগলের মালিক জয়নাল হোসেন তার বাড়ির উঠানে ছাগল না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পাশের গ্রামের ছাগলকাণ্ডের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ছাগলটি তার। পরে ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মুন্না সরদার ও মুক্তার হোসেনকে আটক করেন। একই সঙ্গে মোটরসাইকেল ও ছাগল জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ এপ্রিলে কমিটির অনুমোদন দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী ও সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউল। ওই কমিটিতে আটজন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। তাদের মধ্যে মুন্না সরদারের নাম রয়েছে ছয় নম্বরে।

ছাগল মালিক জয়নাল হোসেন বলেন, দুপুরে ছাগলটি বাড়ির সামনে বাঁধা ছিল। সে সময় বাড়ির বাইরে কেউ ছিলেন না। এ সুযোগে হয়তো ছাগলটি চুরি হয়। নামাজ পর এসে দেখি ছাগল সেখানে নেই। পরে জানতে পারি পাশের গ্রামে ছাগলসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার ছাগল।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তনু কুমার দেব বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একাধিক। তাদের মধ্যে মুন্না সরদার একজন। তবে তিনি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: