পাওনা টাকা চাওয়ায় মাথায় কোপ দিলেন চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ১১:৩৩ এএম

নওগাঁর পত্নীতলায় ইট ভাঁটার ব্যবসায়িক পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে চেয়ারম্যানের হাতে মারধররের শিকার হয়েছেন এক অংশীদার। মারধরের শিকার হাফিজুর রহমান বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি। শনিবার বিকেলে উপজেলার গৌরাদিঘী গ্রামের বিআরবি ইট ভাঁটায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম স্থানীয় আমইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও কান্তা গ্রামের ইয়াসিন আলী মন্ডল ইট ভাঁটার ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় কান্তা গ্রামের কিসমত জিয়াউর রহমান ও মহাদেবপুর উপজেলার কানলা গ্রামের হাফিজুর রহমান ব্যবসায় যোগ দেন। ইয়াসিন আলী, জিয়াউর রহমান এবং হাফিজুর রহমান অর্ধেক ও চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম একাই বাকি অর্ধেক অংশের মালিক হিসেবে ব্যবসা করে আসছিলেন।

এ পর্যন্ত উভয় পক্ষ দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ব্যবসায় বিনিয়োগের পর দ্বন্দ্বের কারণে এ পর্যন্ত তিনজন মিলে ৯০ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু বাকি ৪০ লাখ টাকাসহ লভ্যাংশের হিসাব দিতে গড়িমসি শুরু করেন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।

এ নিয়ে চলতি বছরের ২২ জুন অংশীদার জিয়াউর রহমান ও ২৩ সেপ্টেম্বর ইয়াসিন আলী মন্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এরই ধারাবাহিকতায় বিকেলে ইট ভাঁটায় হিসাব চাইতে গেলে হাফিজুর রহমানকে চেয়ারম্যান রামদা দিয়ে মাথায় কোপ দেন। খবর পেয়ে জিয়াউর রহমান ও ইয়াসিন আলী মন্ডলসহ পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি হাফিজুর রহমানকে মারধর করিনি। একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তারা কোনো টাকা পাবে না। তাদের হিসাব অনেক দিন আগেই মিটিয়ে দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: