এনআইডি ইসিতে রাখতে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি

জাতীয় পরিচয়পত্র( এনআইডি) কার্যক্রম ইসিতে রাখতে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের কাছে চিঠি যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন (ইসি) মো. আলমগীর। নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিতে চাইলে সরকারের সময় লাগবে বলেও তিনি জানান। সোমবার (১৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সম্প্রতি এনআইডি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের মধ্যে মতের বিরোধ চরম।এনআইডি ইসি থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে চলছে দু-পক্ষের মধ্যে টানাটানি। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এনআইডির জন্য নতুন আইন হচ্ছে। এটি পাশ হলেই এনআইডি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে। এবং জন্মের পরপরই নাগরিককে এনআইডি দেওয়া হবে।
ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে ইসি এই কাজটি ২০০৮ সাল থেকে করে আসছে। এজন্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা, ইসি সচিব এমনকি সাধারণ মানুষও চাচ্ছে এটি ইসির কাছেই থাকুক। তাই সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবরা মত প্রকাশ করছেন, এনআইডি ইসি থাকলে ভালো। এটা যদি চলে যায় তাহলে ভোটার তালিকা ও এনআইডির মধ্যে বিরাট একটা গন্ডগোল সৃষ্টি হতে পারে।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি সরকার এনআইডি এখান থেকে নিতে চাইলে বেশ সময় লাগবে। আগামী নির্বাচনের আগে হয়তো এটা সম্ভব হবে না। সরকার এটা নিয়ে গেলে কমিশন ভোটার কার্ড করে ফেলবে। এজন্য এনআইডি’র রাখা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এর কাছে কমিশন থেকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
চিঠিতে কি উল্লেখ থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিঠিতে কি উল্লেখ থাকবে সে বিষয়ে বলা হয়নি। এ বিষয়ে তারা (ইসি কর্মকর্তারা) আমাদের কাছে আবেদন করেছেন, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিচ্ছি।
এখানে থাকুক নাকি চলে যাক, কমিশন কি চায় জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, কমিশনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি, সিদ্ধান্তও হয়নি। এটি এখানে থাকবে নাকি চলে যাবে সেটি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডি এখানে থাকলে কিছু ভালো দিক আছে। আবার জিনিসটি হলো সরকারের। আমাদের কাছে দিয়ে রেখেছে আবার নিয়ে যেতে চায়। প্লাস মাইনাস অনেক বিষয় আছে। যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান, আমাদের অভিভাবক, সরকারেরও অভিভাবক তাই উনার কাছেই পাঠাচ্ছি। উনি যেইটা ভালো মনে করবেন, সেটাই সিদ্ধান্ত দেবেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: