বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫৩ পিএম

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ড সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৪ নভেম্বর) বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন দাবি জানানো হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আমরা আস্থাশীল আছি। আমরা বিশ্বাস করি ফারদিন হত্যার তদন্ত গুরুত্ব সহকারে তাঁরা চালিয়ে যাবেন। দ্রুত সময় তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবেন।

ওই মানববন্ধনে ফারদিনের পিতা কাজী নূর উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেটি যেমন এবং যাঁকে অভিযুক্ত করেছি সেও তেমন ; কেউ যেন ক্ষতিট সম্মুখীন না হয়ে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হয়। এমন কিছু বাহুল্য তথ্য গণমাধ্যমের সামনে আসে এর বিচারিক কার্যক্রম যেন অন্য খাতে প্রবাহিত না হয়। এছাড়া এর আগে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাঁর সাথে ফারদিনের বিষয়টি এক করে শিপমেন্ট দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে কভারেজ দিবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমার দেশের তদন্ত কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর উপর আমার আস্থা রয়েছে। আর বিচার কার্যক্রম যদি বাধাগ্রস্ত হয় সেটি মিডিয়া ট্রায়ালের কারণে হবে। কারণ এ পর্যন্ত ফারদিন হত্যাকাণ্ডে কোন প্রকারের নির্ভর যোগ্য তথ্য ছাড়াই জঙ্গি, মাদক, মাদক স্পটে গিয়েছে এগুলো কিন্তু মিডিয়াতে প্রথম ব্যবহার করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমার সন্তান কারো শত্রু নয়। আমি কখন আমার পেশাগত জীবনে শত্রু তৈরি করিনি। সুতরাং এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা সহজ বিষয় না। প্রকৃত খুনি দের চিহ্নিত করতে সময় লাগতে পারে, আমি হতাশ নই। এ তদন্তে যারা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারীরা রয়েছেন তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন, সেই আশা রাখতে চাই।

মাদকের কারবারীর বিষয়ে তিনি বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। ফারদিন বাসা থেকে বের হওয়ার পর সে কি কি করবে সব তার মাকে বলত। মায়ের অবাধ্যের বিরুদ্ধে সে কখনো যায়নি। নিখোঁজ এর আগের দিন তার বুয়েটে গ্রুপ স্টাডি করার কথা ছিল। ফারদিন নিখোঁজের পর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে, জিডির ৪৮ ঘণ্টা পরেও পুলিশ জিডির তদন্ত বা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট পাইনি। লাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত থানার কার্যক্রমে আমরা খুশি না।

এছাড়া অন্য কাউকে সন্দেহ করছেন কি’না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার যা সন্দেহ করার তা তো ওখানেই (মামলা) দিয়েছি।

উল্লেখ্য, সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর বনানি ঘাট থেকে নিখোঁজ ফারদিন নুর পলাশ নামে ওই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যাওয়াতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: