বিকাশে ছিল ৩০০ টাকা, ১০ হাজার ক্যাশ আউট করতে গিয়ে ধরা

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০১ পিএম

লক্ষ্মীপুরে বিকাশ প্রতারক সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় ভূঁইয়া টেলিকম নামে একটি বিকাশ এজেন্টের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত দুই ব্যাক্তির নাম- ওমর ফারুক ও মো. ফরহাদ। ফারুক নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খাঁনপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ও ফরহাদ মাইজদী পুরাতন কলেজ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। পুলিশ ও বিকাশ এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, ওই দুইজন একটি ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে ১০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য দোকানে আসেন। কিন্তু দোকানদারের কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। এ সময় তারা চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার টাকা তোলার জন্য একই দোকানে আসেন। তখন দোকানদার তাদেরকে ক্যাশআউট করতে বলেন। কিন্তু তারা পারছিলেন না।

পরবর্তীতে দোকানদার নিজেই তাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে পিন নম্বর দিয়ে বিকাশ হিসাব চেক করেন। এ সময় হিসাবে ৩০০ টাকা পাওয়া যায়। এই কথা বলাতে দোকানদারের ওপর চড়াও হয়ে ওঠে তারা। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। সে সময় ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান সরাতে এসপি মাহফুজ্জামান আশরাফ, এএসপি (সদর সার্কেল) সোহেল রানা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন অভিযান চালাচ্ছিলেন। দোকানের তর্কের ঘটনাটি এসপির নজরে পড়ে। কাছে যেতেই দোকানদার এসপিকে পুরো ঘটনাটি বলেন। দুই ব্যক্তি বিকাশ প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহ করেন। পরে তাদের আটক করে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে অভিযুক্তদের দাবি, তারা প্রতারক নয়। তারা ভাঙারি ব্যবসা করেন। তারা বিকাশ থেকে টাকা উঠানোর জন্য দোকানটিতে এসেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। তারা প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: