প্রেমের টানে জামালপুরের যুবক গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়, করলেন বিয়ে

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৩৯ পিএম

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় গেছেন জামালপুরের এক যুবক। তার নাম তানজিলুর রহমান অর্ক (২৭। সেখানে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিয়ে করেছেন প্রেমিকা সিতি মারিয়াকে। রোববার (১৩ নভেম্বর) ওই যুবকের পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইন্দোনেশিয়া যাওয়া ব্যক্তি হলেন, জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকার মো. মিজানুর রহমানের ছেলে তানজিলুর রহমান অর্ক। তিনি একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে চাকরি করছেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট মুসলিমা ডটকম নামে একটি সাইডে অ্যাকাউন্ট করেন তানজিলুর রহমান অর্ক। এরপর তার সঙ্গে কথা হয় সিতি মারিয়া (২৩) নামে এক নারীর। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৪০ মিনিটের দূরে বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবা প্রবিন্স নামক এলাকায় বাস করেন সিতি মারিয়া। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সিতি মারিয়া। তার বাবা ওমর একজন ব্যবসায়ী। লেখাপড়া শেষে সিতি মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কোরআন-হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন।

এদিকে মুসলিমা ডটকমে পরিচয় হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত কথা বলতে বলতে প্রেম হয় দুজনের। এরপরই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নানা জটিলতা শেষ করে গত ১৮ অক্টোবর বিমানযোগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশে পাড়ি জমান অর্ক।

মোবাইল ফোনে তানজিলুর রহমান অর্ক জানান, অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল তার। করোনার কারণে অনেক দিন ভিসা বন্ধ ছিল। সেখানে গিয়েও অনেক কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। এজন্য বিয়ে করতে দেরি হয়েছে। অর্ক আরও বলেন, সিতি মারিয়াকে বাংলাদেশে নিতে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনেক কাগজপত্র লাগবে। কাগজগুলো প্রস্তুত করতে আরও ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।

অর্ক দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আমরা যেন সুখী হতে পারি সে দোয়া করবেন। আমি সিতির সব সিদ্ধান্তে একমত। সিতি চাইলে বাংলাদেশেওথাকতে পারে, ইন্দোনেশিয়ায়ও থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।

মোবাইল ফোনে সিতি মারিয়া জানান, আগে বাংলাদেশের ছেলেদের সম্পর্কে তাদের খারাপ ধারণা ছিল। কিন্তু এখন অর্কের সঙ্গে মিশে সেই ধারণা বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত মিশুক ও সহজ সরল। কাগজপত্র ঠিক হলেই বাংলাদেশে আসবেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: