ফরিদপুরে এইচআইভি আক্রান্ত ৫, ঝুঁকিতে পাঁচ শতাধিক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৪৬ পিএম

ফরিদপুরে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন এবং আরও ঝুঁকিতে রয়েছেন অন্তত পাঁচ শতাধিক পুরুষ। আক্রান্তরা ঢাকা ও খুলনায় বেসরকারি সংস্থা লাইট হাউজের সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা সদর মিলিয়ে এইচআইভির ঝুকিতেঁ রয়েছেন অন্তত ৭ শতাধিক পুরুষ ও ৪৮ জন হিজড়া।

ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসে লাইট হাউজের আয়োজনে হিজড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরুষ জনগোষ্ঠির আচরণ পরিবর্তন, এইচআইভি এইডস পরীক্ষা ও সংক্রমিতদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ, সর্বপরি একটি এইডস মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয় ও সচেতনতা সৃষ্টি বিষয়ক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

এসময় ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান সভাপতিত্বে লাইট হাউস জেলা ইনচার্জ মো. পলাশ খানের সঞ্চালনায় সেখানে বক্তব্য রাখেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, অপারেশন) এম. এ গাফফার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জেলা ব্যবস্থাপক মো. জুলফিকার আলী ও আরএইচস্টেপ এর ইউনিট ম্যানেজার জোতিব্রত বিশ্বাস। সভায় ওসি এম এ গাফফার বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠি হলেও দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের প্রতি আমাদের দ্বায়বদ্ধতা রয়েছে। এটি যেমন সামাজিক তেমনি পেশাগতও। কেননা তাদের জন্য উপর্যুক্ত পেশার ব্যবস্থা করা না গেলে আমরা তাদের পরিবর্তনের কথা যতই বলি না কেন, তাদের প্রচলিত পেশার কোনো পরিবর্তন হবে না। পাশাপাশি তাদের প্রতি আমাদের ভালো আচরণ দ্বারা বোঝাতে হবে যে তারা সমাজের অবহেলিত অংশ নয়।

এ সময় ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে অসুস্থ্যতা সৃষ্টির পথকেও বন্ধ করতে হবে। হিজড়াদের শুধু এইচআইভি এইডস বা যৌন রোগ সম্পর্কে সচেতন করলেই হবে না, বরং তাদের একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠা ও জীবন ধারণের জ্ঞানও অর্জন করতে হবে। বিশ্বের অপরাপর দেশে তাদের জন্য বিভিন্ন পেশা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে তাদের জন্য প্রশিক্ষণ বা পেশা সৃষ্টি করা হলেও যদি তারা তা করতে আগ্রহী না হয় তবে তাদের প্রচলিত পেশা থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে না। সুতরাং তাদের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: