শ্বশুর বাড়িতে ২য় স্বামীর হাতে ১ম স্বামী খুনের অভিযোগ, স্ত্রী আহত

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৩১ পিএম

ময়মনসিংহের ভালুকায় শ্বশুরবাড়ীতে ২য় স্বামী রাজীব ওরফে রানার হাতে ১ম স্বামী ফখরুল ইসলাম(৫০) নির্মমভাবে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় ভান্ডাব বয়ডাপাড়া এলাকায় শ্বশুর মৃত আবুল কাশেমের বাড়ীর পাশে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় ভান্ডাব বয়ডাপাড়া এলাকায় শ্বশুর মৃত আবুল কাশেমের বাড়ীতে থাকা ফখরুল ইসলাম (৫০), তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার ও তার ৮ বছরের মেয়ে তমা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হয়। এ সময় তার স্ত্রী ও সন্তান বাথরুমের কাজ সেরে আগে রুমে চলে যায়। পরে ফখরুল বাথরুম সেরে বের হওয়ার সাথে সাথে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা আকলিমার ২য় স্বামী রাজিব ওরফে রানা ফখরুলের উপর অর্তকীত অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় ফখরুল প্রাণে বাঁচতে দৌঁড় দিলে পেছন থেকে ঘাড়ে আঘাত করায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, পরে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার স্ত্রী আকলিমা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় রানা। পরে গুরুতর আহত আকলিমাকে তার স্বজনরা প্রথমে ভালুকা পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

আকলিমার চাচাত ভাই রফিক জানান প্রায় ১০/১১ বছর আগে উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বান্দিয়া মুচারের ঘাট এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ফখরুল ইসলামের ১ম স্ত্রী ২সন্তান রেখে চলে যাওয়ায় একই উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ভান্ডাব মড়লবাড়ী এলাকার মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে আকলিমা আক্তারকে ২য় বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি মেয়ে সন্তান হয়। ৫/৬ বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর মাঝে আকলিমা ইকরাম সুয়েটারে চাকুরি নিলে সেখানে রাজিব ওরফে রানা নামে এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে তারা বিয়ে করেন। এ সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তাই আগের স্বামী ফখরুল পূনরায় আকলিমাকে বিয়ে করে। রানা বিষয়টিকে ভালো ভাবে নিতে পারেনি। তাই হয়তো এই ঘটনা ঘটতে পারে। নিততের স্ত্রী আকলিমা ও মেয়ে তমা রানাকে সরাসরি খুন করতে দেখেছে বলে জানিয়েছে বলেও জানান রফিক। নিহতের বড় ছেলে জানান, আমার বাবাকে কে বা কারা হত্যা করেছে তার সঠিক বিচার চাই।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভালুকা মডেল থানার ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে খুনের রহস্য উদঘাটন করে আসামীদের ধরা ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: