জালিয়াতি করে নিজেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দাবি!

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০৬:১৯ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাগর হালদার শ্রাবন। মাদক সেবন থেকে শুরু করে চাদাবাজী ও নারী কেলেংকারীর মতো গুরুত্বর অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সাগর হালদার শ্রাবনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে—এমন একটি চিঠি ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন কথিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শ্রাবণ।

গত ১৪ নভেম্বর সাগর হালদার শ্রাবন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে “অবশেষে পিওর কেন্দ্রীয় নেতা লিখে ৩১ জুলাই ২০২২ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি প্যাড আপলোড করেন। সেখানে দেখা যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত প্যাডে তাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি বলেন, ‘শ্রাবনের সহ-সম্পাদকের চিঠির তথ্য আমাদের দপ্তরসেলে নেই। যারা ফেসবুকে নিজেদের একটু উন্নত পর্যায়ের নেতা হিসেবে জাহির করছে তারা সবাই ধরা খাবে। যারা ফটোকপি করে এসব করছে তারাও ভালোভাবে ধরা খাবে। কারণ, মূল কপি আমাদের কাছে। এ বিষয়ের জন্য আমরা নিজেরাও বিব্রত!

এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খান মো: শিমুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক সাগর হালদার শ্রাবন নামে কারো তথ্য নেই। এই নামে কাউকে আমি চিনিনা। এ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে আমাদের দপ্তর সম্পাদক জানে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন দুঃসাহসিক জালিয়াতি করে, এমন সাহস কার। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা উচিৎ। শ্রাবণের মতো অনেকেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাডে সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজেদের কে স্বঘোষিত কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দাবি করে। কিছুদিন পূর্বে শ্রাবন আমাদের সভাপতি জয়ভাইকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। শ্রাবনের মত অভিযুক্ত ব্যক্তি কখনোই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের পদ পেতে পারেন না। ’ এ বিষয়ে তিনি সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাগর হালদার শ্রাবনকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শারফিন রেজা দীপ্তর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে নিজেকে দাবি করেছিলেন। এরপর নিজ এলাকায় ছাদখোলা গাড়িতে গলায় ফুলের মালা পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বহরে ছিল প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেলও। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নজরে আসে। পরে দিপ্তর পদ ভুয়া বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেন। এর আগেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের ভুয়া পদ ব্যবহার করায় বিব্রত কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: