খাওয়ার সময় পাচ্ছে না জার্সি বিক্রেতারা, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১২:৫৮ পিএম

দুয়ারে কড়া নাড়ছে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। ইতি মধ্যে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। বাড়তি উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে। দেশজুড়েই সমর্থকরা নিজের পছন্দের দলের পতাকা ও জার্সি কেনার ধুম পড়েছে। ক্রেতাদের চাপে জার্সি-পতাকা বিক্রির জন্য খাওয়া দাওয়া করার সময় পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহ মহানগরীর গাঙ্গিনারপাড়ের খেলাঘর এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, দোকানে দোকানে ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাপ। কেউ কিনছেন পতাকা, কেউ কিনছেন জার্সি, আবার অনেকে দোকানে দাড়িয়ে পছন্দের দলের জার্সি খোঁজছেন। এদিকে ব্যস্থ সময় পার করছেন বিক্রেতারা। খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়েই বেচানাকেনায় ব্যস্ত বিক্রেতা।

আর্জেন্টিনা সমর্থক নাদিম রহমান বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি নগরীর কাঁচিঝুুঁলি থেকে আর্জেন্টিনার জার্সি কিনতে এসেছি। পছন্দ করে কিনে তাকে মেসির নাম লিখিয়েছে। মেসির প্রতি ভালবাসা থেকেই আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করি। একটা পতাকা কিনার বাকি আছে। তবে, দাম বেশি চায়।

মহানগরীর আকুয়া শিকদার বাড়ি এলাকা থেকে আর্জেন্টিনার পতাকা কিনতে এসেছেন মোঃশারুফ নামে এক তরুণ। তিনি টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করেন। তিনি বলেন, মেসির খেলা অনেক ভাল লাগে তাই, আর্জেটিনার সমর্থন করি। এখন আর্জেন্টিনার পতাকা কিনেছি। টাকা হলে নতুন একটা জার্সি কিনব।

জার্সি বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বি২৪লাইভকে বলেন,শিশুদের জার্সি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, বড়দের জার্সি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সি সমান তালে বিক্রি হচ্ছে। তবে, অন্যান্য দলের জার্সির চাহিদা কম। প্রতিবারের চাইতে এবার জার্সির চাহিদা বেশি। বেচাকেনাও অনেক বেশি। একদিনে সর্ব্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ টা জার্সি বিক্রি হয়।

নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুল এলাকা থেকে ছেলের জন্য জার্সি কিনতে আসছেন হারাধন সাহা তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, ছেলে অদৃক সাহা (৬) ব্রাজিল সমর্থন করে। তাই, ছেলের জন্য একটি জার্সি কিনেছি। আমি ব্রাজিলের সমর্থন করে। আমাকে দেখে ছেলেও ব্রাজিলের খেলা পছন্দ করে। বাবা মায়ের সাথে আর্জেন্টিনার জার্সি কিনতে আসছেন ৬ বছরের শিশু নুর ইসলাম। শিশু নুর বলেন, আমি মেসির খেলা পছন্দ করি। তাই, আর্জেন্টিনার জার্সি কিনেছি। জার্সিতে আমার নাম লেখাব বলেও জানায় সে।

নুর ইসলামের স্রী রুনা বেগম বলেন, ছেলে কয়েকদিন যাবত জার্সি কিনে দিতে বলছে। তাই, ছেলের ইচ্ছা পুরণে জার্সি কিনতে এসেছি। তাছাড়া, তিনি নিজেও আর্জেন্টিনার সমর্থন করে বলেও জানান।

লক্ষী খেলা-ঘরের বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম রনি বলেন, শিশুদের জার্সি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। বড়দের জার্সি ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা। দৈনিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার জার্সি বিক্রি হয়। বেশি বিক্রি হয়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, পর্তুগাল ও স্পেনের পতাকা। বেচাকেনা এত বেশি আমরা খাওয়া দাওয়া করা সময় পাচ্ছি না।

জাতীয় বিভিন্ন দিবস ও ফুটবল-ক্রিকেট বিশ্বকাপে মাদারীপুর থেকে ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পতাকা বিক্রি করেন আরব আলী। তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, বিগত ১৮ বছর বছর যাবত দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে পতাকা বিক্রি করে আসছি। পতাকা বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। আমার কাছে ছোট বড় মাঝারী পতাকা আছে। ছোট পতাকা ১০ টাকা ও বড় গুলো ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করি। এবার বেচাকেনা ভাল। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে ৩০ টার মত পতাকা বিক্রি করেছি। এখান থেকে ৬/৭শ টাকার মত লাভ হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: