নন্দীগ্রামে নবান্নে মাছের মেলা, সবচেয়ে বড় মাছের দাম ৫৫ হাজার টাকা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০২:০৭ পিএম

পঞ্জিকা অনুসারে আজ শুক্রবার পয়লা অগ্রহায়ণ হওয়ায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করছেন।

এই নবান্ন উৎসবকে ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বসেছে মাছের মেলা। সেখানে সারি সারি দোকানে থরে থরে সাজানো রয়েছে রুই, কাতলা, চিতল, ব্ল্যাককার্প, বিগহেড, সিলভার কার্প, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। কোনো কোনো মাছ বিক্রেতা বিশালাকৃতির মাছগুলো মাথার ওপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।

নবান্ন উপলক্ষে এ এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীর লোকজন মেয়ে-জামাই ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে বাড়িতে নিয়ে এসে বাহারি পিঠা-পায়েসসহ নানা রকমের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করেন। এ ছাড়া নবান্ন উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ হলো হরেক রকম বড় বড় মাছের রান্না।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার ওমরপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মাছের দোকানে ১ থেকে ৪৫ কেজি ওজন পর্যন্ত মাছ রয়েছে। ৪৫ কেজি ওজনের সবচেয়ে বড় বাঘাইড় মাছটি দাম হাকা হচ্ছে ৫৫০০০ হাজার টাকা। এছাড়া মেলায় আকারভেদে রুই ৩৫০-৭০০, কাতলা ৩০০-৭৫০, বিগহেড ৩০০-৬৫০, সিলভার কার্প ২৫০-৫০০, চিতল ৫০০-১০০০, বাঘাইড় ৫০০-১২০০, বোয়াল ৫০০-১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে নতুন আলু ও শীতকালীন হরেক রকমের সবজিও উঠেছে।

ওমরপুর মেলায় মাছ কিনতে আসা জয় কুমার সরকার বলেন, নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বাজারে মাছের মেলা বসে। মাছের মেলাকে ঘিরে ওমরপুর বাজারে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এবার মাছের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।

মেলায় মাছ বিক্রি করতে আসা রজীব হাসান, মোস্তফা হোসেন ও মিন্টু মিয়া জানান, নবান্ন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে মাছ আনা হয়। বড় বড় ব্যবসায়ীরা এক থেকে দুই লাখ টাকার মাছ মেলায় বেচার জন্য এনেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা বেশি। তাই মাছ বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছি। মাছের দাম স্বাভাবিক আছে।

সবজি বিক্রেতা লিটন আহম্মেদ বলেন, আজ শুক্রবার ওমরপুরের হাটবার। এর সাথে আজ নবান্ন পরেছে। এজন্য শাকসবজি বিক্রি খুব ভাল হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: