দৌলতপুর এক্স স্টুডেন্টের বৃত্তি পরীক্ষায় ১৩০০ মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম

কামরুল হাসান নীরব, ফেনী থেকে: শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মেধার মনোবিকাশ ঘটাতে দৌলতপুর হক বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয় স্টুডেন্ট ফোরাম(চট্টগ্রাম কমিটি) বৃত্তি ফাউন্ডেশন কর্তৃক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এতে ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কিন্ডার গার্ডেনের ১৩০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে পাশ্ববর্তী কয়েকটি স্কুলের রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।বৃত্তি পরীক্ষাটি কেবল ৫ম এবং ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বৃত্তি পরীক্ষাটি জে এন্ড জে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব. এ কে এম জহিরুল হক কামরুল'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে অন্যতম এনামুল হক, মোশারফ হোসেন,আবুল হোসেন মিয়া, মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী পলাশ সহ অনেকে সহযোগীতা করেন।

স্থানীয় কমিটির সভাপতি মাস্টার মোস্তফা পাটোয়ারী পরীক্ষা নিয়ে অনুভূতি প্রকাশে সাংবাদিকদের কে জানান 'আমি প্রথমে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাদের আজকের এই পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দদের। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আমাদের এ কার্যক্রমের পাশে থাকায় ধন্যবাদ জানাই। আজকের এ পরীক্ষা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এতে করে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে বলে আমি মনে করি।

পাশাপাশি স্কুলগুলোতে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার একটি প্রতিযোগী মনোভাব তৈরি হবে। বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব. আহমদ করিম ভূঁইয়া জানান' বর্তমানে আমাদের সামাজিকভাবে কিশোরগ্যাং একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধীতে পরিণত হয়েছে। আজকের এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পূনরায় নেতার লেজুড়বৃত্তি ছেড়ে পাঠশালার দিকে ঝুঁকবে। পাশাপাশি বাইরের যে বহিরাগমন আড্ডা তা থেকে মুক্তি পাবে এতে করে আমাদের সমাজ এবং বিদ্যালয়গুলোর জন্য ব্যাপক কল্যাণ নিহিত রয়েছে বলে আমি মনে করি।

বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে দৌলতপুরের পার্শ্ববর্তী মমতাজ মিয়া বাজার, ধলিয়া, মজুপুর, নেয়ামতপুর সহ বিভিন্ন এলাকাগুলোতে এক ধরনের উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছিল। শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর সাথে তাদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।

অভিভাবকদের মধ্যে শেখ আহম্মদ জানান' ২০০৯ সালে আমার বড় মেয়ে নাবিলা সানজম বাঁধন সামাজিক বৃত্তি পরীক্ষা নামে একটি সাংস্কৃতিক ক্লাবের বৃত্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন। তখন আমার বড় মেয়ে এবং তার সহপাঠী,আত্নীয়সহ পরিচিতদের মধ্যে যে উদ্দীপনা বিরাজ করেছিল পরবর্তী আজ ৭-৮ বছর যাবত বিকাশ ঘটে নি। ২০২২ সালে এসে দৌলতপুর হক বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয় এর চট্টগ্রামের কমিটি বৃত্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে আয়োজনটি করেছে এতে করে আমার বড় মেয়ের ছেলে আশরাফুল আদনান(৫ম শ্রেনী) এখন পরীক্ষা দিতে এসেছে। এটা সত্যিই খুবই আনন্দদায়ক এবং আমি মনে করি প্রতি ছয় মাস পর পর এ ধরনের বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে শিক্ষার ক্রমাগত বিকাশে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।তবে শুধু দুইটি শ্রেনি নয় ক্রমাগত সকল শ্রেনীর অংশ গ্রহন একান্ত কাম্য।

তবে এবার বৃত্তি পরীক্ষাটি ছিল সম্পূর্ণ বহুনির্বাচনী অভীক্ষা ভিত্তিক। পূর্বের বৃত্তি পরীক্ষার সময়কালীন কিছু সংখ্যক বহুনির্বাচনি আবার অনুচ্ছেদ লিখন, জ্যামিতি লিখন সহ বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞানের উপরে লিখিত আসলেও এইবার বৃত্তি পরীক্ষার সম্পূর্ণ হয় বৃত্ত ভরাটের মাধ্যমে। দুই ঘন্টার পরীক্ষায় বাংলা-২৫, ইংরেজি-২৫, গণিত-২৫, বিজ্ঞান-১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান ছিল ১০।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: