নোয়াখালীতে গৃহবধূ পলি হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি (৩৯) হত্যার দায়ে তার স্বামী মঈন উদ্দিনের (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অন্তত পুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটেরা ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে কৌশলে মঈন উদ্দিন ভুক্তভোগী বিবি ফাতেমাকে বিবাহ করেন। বিয়ের পর মাত্র ১ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ৩১ আগস্ট হত্যা করে ড্রেনে ফেলে রাখে। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের লাশ ভেসে উঠেছে। ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে স্বামী মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলায় আজ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (এপিপি) মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বিডি২৪লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্বামী ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত শুনানি শেষে মঈন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এ কৌঁসুলি।

নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমার বাবা মামলার বাদী ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ এ রায় হলো কিন্তু আমার বাবা বেঁচে নাই। তিনি মারা গেছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: