দ্বিতীয়দিনের মত বাঘাবাড়িত নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০১:১৯ পিএম

মালবাহী ও যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মবিরতি পালন করছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের শ্রমিকরা। সোমবার (২৮ নভেম্বর) ভোর থেকেই বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের শ্রমিকরা এ কর্মবিরতি পালন করছেন। এর আগে শনিবার মধ্যরাত থেকে দেশের সবকটি নৌ-বন্দরের নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

আন্দোলন রত শ্রমিকদের পক্ষে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য আব্দুল ওয়াহাব মিয়া জানান, বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে শান্তিপূর্ণ ভাবে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। তিনি বলেন, সর্বনিন্ম ২০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ, নৌযান শ্রমিকরা কর্মস্থলে ও দূর্ঘটনায় মত্যুজনিত ঘটনায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, কট্রিবিউটি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন,ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ প্রদান, বাল্কহেডের রাত্রীকালিন চলাচল নিষধাজ্ঞা শিথিলকরণ, বাংলাদেশর বন্দর সমুহ থেকে পণ্যপরিবহণ নীতিমালা ১০০ ভাগ কার্যকর করা, চট্টাগ্রাম বন্দর পোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, চট্টাগ্রাম থেকে পাইপলাইনে জ্বালানী তেল সরবরাহর চলমান কার্যক্রম বন্ধসহ ১০ দফা দাবীতে তারা আন্দলন করছে। সরকার ও জাহাজ মালিকগণ তাদের এ দাবী পূরণ করলেই তারা আবারও কর্মস্থলে ফির যাবেন।

বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের লেবার এজেন্ট আবুল হোসেন জানান, নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলার কারণে কোনো কার্গো জাহাজ থেকে মালামাল লোড আনলোড হয়নি। কোন জাহাজ এখান থেকে ছেড়েও যায়নি। আবার কোনো জাহাজ এ বন্দরে আসেনি। ফলে এ বন্দরে কর্মরত প্রায় ৪ শতাধিক লেবার সারাদিন কর্মহীন হয়ে বসে বসে সময় পাড় করেছে।

বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর যমুনা ওয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপক আবুল ফজল মো: সাদেকিন বলেন,নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতির কারণে কোন জাহাজ থেকে জ্বালানী তেল আনলোড করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য উত্তরাঞ্চলের কোথাও জ্বালানী তেলের কোন সমস্যা হবে না। বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোতে পর্যাপ্ত জ্বালানী তেল মজুদ আছে। এ মজুদ থেকে সরবরাহ অব্যহত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: